সংশোধনী ১ম থেকে ৪৭ তম





ভারতীয় সংবিধানের উল্লেখযোগ্য সংশোধনী


 সংশোধনী নং   :  বছর     :  মূল সংশোধিত বিষয়


  • প্রথম  ১৯৫১  (ক) সামাজিক এবং শিক্ষাগত দিক দিয়ে অনগ্রসর শ্রেনিসমূহের জন্য                         
                      বিশেষ ব্যাবস্থা অবলম্বনের ক্ষামতা সরকারকে দেওয়া হয়।
              (খ) সংবিধানে ১৯নং ধারা অনুযায়ী বাক স্বাধীনতা ও মতামত
                  প্রকাশের অধিকারের উপর রাষ্ট্রের যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ আরোপের                 
                   ক্ষামতা।
                  (গ) সংবিধানের ৩১নং ধারাটির (সম্পত্তিগত অধিকার সম্পর্কিত)
                   সহিত নতুন দুটি ধারা যুক্তকরন।
  • দ্বিতীয় ১৯৫২  প্রতি পাঁচ লক্ষ অধিবাসী পিছু একজন লকসভার সদস্য নির্বাচিত হবেন।
  • তৃতীয় ১৯৫৪  সংবিধানের সপ্তম তপশিলে বর্ণিত যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়সমূহের তালিকার
            ৩৩নং বিষয়ে কতগুলি নতুন বিষয় সংযুক্ত হয় এই সংশোধনী দ্বারা।
            মানুষ ও পশুখাদ্য, তুলা, পাট প্রভুতি যুগ্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
  • চতুর্থ ১৯৫৫  জমিদারি বিলোপ সংক্রান্ত ব্যবস্থাদি। ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর রাষ্ট্রের
            নিয়ন্রন অধিকতর বৃদ্ধি। রাষ্ট্রের জনস্বার্থে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যক্তিগত
            সম্পত্তি অধিগ্রহনের ক্ষামতা লাভ করে।
  • পঞ্চম ১৯৫৫  সংবিধানের তৃতীয় অণুচ্ছেদটির আংশিক পরিবর্তন। রাস্ত্রপতিকে ক্ষামতা
            দেওয়া হয় ‘রাজ্যের নাম ও সিমানার’ পরিবরতনজনিত আইন প্রনয়নের
            ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মতামত প্রদানের সময়সিমাকে নির্দিষ্ট করে দিতে।
  • ষষ্ঠ ১৯৫৬   আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত দ্রব্যসামগ্রীর ক্রয়-বিক্রয়ের উপর
            কেন্দ্রীয় সরকার কর ধার্যের ক্ষামতা লাভ করে।
  • সপ্তম ১৯৫৬   কতগুলি নতুন রাজ্যর অভ্যুদয় এবং কয়েকটি রাজ্যের সীমানার
            পুনর্গঠন।
  • অষ্টম ১৯৬০  লোকসভা ও রাজ্যের বিধানসভাগুলিতে তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি
              এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ভুক্তদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ
              বৃদ্ধি (১০ থেকে ২০ বছর)।
  • নবম ১৯৬০  সংবিধানের প্রথম তপশীলের পরিবর্তন করা হয়। বেরুবাড়ী প্রভুতি অঞ্চল
              পাকিস্তানকে হস্তান্তরের জন্য সংশোধনীটি করা হয়।
  • দশম ১৯৬১  দাদরা ও নগর হাভেলি (পর্তুগীজ অধিনতা হতে মুক্ত) ভারতের রাষ্ট্রের
           সাথে যুক্ত হয়ে কেন্দ্রিশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পায় এই সংশোধনী দ্ধারা।
 
  • একাদশ ১৯৬১   রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় নির্বাচনী সংস্থার কোনো
             সদস্যপদ শূন্য থাকলেও নির্বাচন অবৈধ বলে বিবেচিত হবে না।
  • দ্বাদশ ১৯৬২   পর্তুগীজ দের অধিনতা থেকে মুক্তো গোয়া, দমন, দিউ ছিটমহলকে
             ভারতীয় ইউনিয়নের (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়)
             সহিত যুক্ত করা হয়।
  • এয়োদশ ১৯৬২  নাগাল্যান্ড একটি পূর্ণ স্বতন্ত্র রাজ্যের মর্যাদা পায়।
  • চতুর্দশ ১৯৬২  ফরাসী অধিকৃত পন্ডিচেরী মুক্ত হয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা
             লাভ করে।
             কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জন্য আইনসভা ও মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যবস্থা।
                        এই অঞ্চলগুলি লকসভার সদস্যসংখা ২০ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ করা হয়।
  • পঞ্চদশ ১৯৬৩   হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স যথাক্রমে
             ৬২ ও ৬৫ করা হয়।
  • ষষ্ঠদশ ১৯৬৩  পার্লামেন্ট ও রাজ্যের আইসভার প্রতি নির্বাচনে প্রার্থীকে দুটি বিষয়ে
             শপথ নিতে হবে। একটি ভারতরে সংবিধানের প্রতি আনুগত্য ও
             অপরটি দেশের সার্বভৌমিকতা ও অখন্ডতা অক্ষুন্ন রাখা।
  • সপ্তদশ ১৯৬৪   ভূমি সংস্কার কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন
             করা হয় এবং ভূসম্পত্তির সর্বোচ্চ সীমাও নির্দিষ্ট করা হয়।
  • অষ্টাদশ ১৯৬৬  ভাষার ভিত্তিতে পাঞ্জাব রাজ্যের পুনর্গঠন। চন্ডিগড়কে পৃথক
             কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দান।
  • ২১-তম ১৯৬৭   সংবিধানের অষ্টম তপশিলে সিন্ধি ভাষার অন্তরভুক্তকরন।
  • ২৪-তম ১৯৭১   মৌলিক অধিকারসহ সংবিধানের যেকোনোও অংশ পরিবর্তনের অধিকার
              সংসদকে প্রদত্ত করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি সংবিধান সংশোধনী বিলে
              সম্মতি দিতে বাধ্য থাকবেন।
  • ২৬-তম ১৯৭১   দেশীয় ন্রিপতিদের পদ, রাজন্যভাতা ও অন্যান সুজগ-সুবিধা বিলোপ
              করা হয়।
  • ৩০-তম ১৯৬১  সুপ্রিম কোর্টের নিকট আপীল করার সুযোগকে সঙ্কুচিত করা হয়। বলা
              হয় যে, কোনো মামলার সাথে ‘আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জরিয়ে            
              আছে’-এই মর্মে হাইকোর্ট দিলে তবেই সুপ্রিম কোর্টে আপীল করা যাবে।
  • ৩১-তম ১৯৭৩  লোকসভার নির্বাচিত আসনসংখ্যা ৫২৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৪৫ করা হয়।
  • ৩৩-তম ১৯৭৪   আইনসভার সদস্যদের জোরপূর্বক পদত্যাগ প্রতিরধের ব্যবস্থা গ্রহন করা
              হয়। পার্লামেন্ট বা রাজ্য আইনসভার কোনো সদস্য পদত্যাগ করলে
              সংশ্লিষ্ট কক্ষের সভাপতি স্পীকার তদন্ত করে দেখবেন যে, সেই পদত্যাগ
              স্বেচ্ছামূলক নাকি বলপূর্বক করতে বাধ্য করা হয়েছে, যদি স্বেচ্ছামূলক
              না হয়, সেই পদত্যাগ গৃহীত হবে না।
  • ৩৫-তম ১৯৭৪   সিকিমকে ভারতের সহযোগী অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়।
  • ৩৮-তম ১৯৭৫   রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের হাতে
               অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স জারী করার ব্যাপারে চূড়ান্ত ক্ষামতা ন্যস্ত করা
               হয়। এ ব্যাপারে আদালতের কোনো ক্ষামতা বা এক্তিয়ার থাকবে না।
  • ৩৯-তম ১৯৭৫   রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার স্পীকার নির্বাচন
               সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা আদালত কোরতে পারবে না। উক্ত বিরোধের
               মীমাংসা ঘটবে পার্লামেন্ট প্রণীত আইন ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে।
  • ৪১-তম ১৯৭৬   রাজ্যের রাষ্ট্র কর্তৃক কমিশনের (state public service commission)
                            অবসর গ্রহনের বয়স ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করা হয়।
  • ৪২-তম ১৯৭৬   সংবিধানের অনেকগুলো অংশের পরিবর্তন ও সংযোগ করা হয়-
              (ক) ভারতীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা ৫টি বৈশিষ্ট্যর ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও  
                   ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি সংযোজিত হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে
                   প্রস্তাবনায় শেষের দিকে ‘সংহতি’ শব্দটি যুক্ত করা হয়।
              (খ) সংবিধানের মধ্যে নতুন একটি অংশ যুক্ত করা হয় তা হল চতুর্থ
                 -এ অংশ। এই অংশে দশটি মৌলিক কর্তব্যকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
              (গ) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার পরামর্শ রাষ্ট্রপতি মানতে বাধ্য
                  থাকবেন।
              (ঘ) লোকসভার কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর থাকে বাড়িয়ে ৬ বছর
                      করা হয়।
                  (ঙ) কেন্দ্রীয় আইনের সংবিধানিক বৈধতা বিচারের ক্ষামতা কেবলমাত্র
                      সুপ্রিমকোর্টের হাতেই থাকবে।
                  (চ) অঙ্গরাজ্যের আইনসভা কর্তৃক রচিত কোনো আইনের বৈধতা
                      বিচারের ক্ষামতা সুপ্রিমকোর্টের হাতে থাকবে না।
                  (ছ) রাজ্য তালিকার দুটি বিষয় বন ও শিক্ষাকে যুগ্ম তালিকায়
                      অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
  • ৪৪-তম ১৯৭৮   লোকসভা ও বিধানসভাগুলির কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর থেকে কমিয়ে
               পূর্বের ন্যায় ৫ বছর করা হয়। (৪২-তম সংশোধনী দ্বারা লোকসভা ও
               বিধানসভার ৬ বছর করা হয়েছিল) জরুরি অবস্থায় ব্যক্তি স্বাধীনতা
               যাতে সূরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করা। সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক
               অধিকারের পরিবর্তে আইনগত অধিকারে পরিনত করা হয়েছে।স্বাধীনতার
               পর এই প্রথম সংবাদপত্রগুলিকে আইনসভার কার্যবিবরণী প্রকাশের
               সাংবিধানিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। অভন্তরীন ক্ষেত্রে কেবলমাত্র
সংশোধনী নং বছর  মূল সংশোধিত বিষয়
               ‘সশস্ত্র বিদ্রোহ’ ও বহিরাক্রমণের সময় জাতিয় জরুরি অবস্থা জারি করা
               হবে। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে যদি কোনো বিরোধের
               সৃষ্টি হয়, তাহলে সুপ্রিমকোর্ট তার নিষ্পত্তি করবে।
  • ৪৫-তম ১৯৮০   লোকসভা ও রাজ্যবিধানসভাগুলিতে তপশিলী জাতি উপজাতি এবং
               অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সদস্যদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ আরো ১০
               বছর বৃদ্ধি করা হয়।
  • ৪৭-তম ১৯৮৪   ভূমিসংস্কার সম্পর্কিত ১৪টি আইনকে সংবিধানের নবম তফশিলে অন্তর্ভুক্ত
               করা হয়।

সংশোধনী ১ম থেকে ৪৭ তম সংশোধনী  ১ম থেকে ৪৭ তম Reviewed by Wisdom Apps on আগস্ট ২৮, ২০১৮ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.