Featured Posts

[সমস্যা%20সমাধান][feat1]

বাংলারভূমি কি ? এখানে কি কি কাজ হয় ? what is banglarbhumi.gov.in ? how to work ? What are benefits ?

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

 বাংলারভূমি (Banglar bhumi )- পশ্চিমবঙ্গ ভূমি রেকর্ড



বাংলারভূমি (https://banglarbhumi.gov.in/) পশ্চিমবঙ্গ সরকাররের দ্বারা চালু করা জমির রেকর্ড এবং সংস্কারের জন্য একটি অনলাইন ওয়েবসাইট। যে কেউ এই পোর্টালটি ব্যবহার করে জমি এবং সম্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য যেমন মালিকের নাম, জমির আয়তন, প্লট নম্বর, সম্পত্তির মূল্যায়ন এবং বর্তমান মালিক কে তা জানতে পারবেন। জমি/সম্পত্তি সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ একজন ক্রেতা বা জমি/সম্পত্তির মালিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কোনো এক ব্যক্তি যদি কোনো জমি/সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে চান, তাহলে তার জমির মৌলিক তথ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া উচিত। এতে ঠকবার ভয় থাকে না এবং পরবর্তী কালে জমির মালিকানা  নিয়ে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা থাকে না ।  

এই ওয়েবসাইট থেকে কেবলমাত্র জমির মালিক কে বা কার নামে এটি নিবন্ধিত তা নির্ধারণ করার মতো মৌলিক কাজ ছাড়া জমির সুনির্দিষ্ট  মানচিত্রও প্রদান করে । বঙ্গভূমি পোর্টাল সার্বিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের জমি/সম্পত্তির প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যের সম্বন্ধে জানায় ।

এই ওয়েবসাইটের আরেকটি সুবিধা হলো - এই তথ্যের মাধ্যমে নির্বাচিত এলাকায় উপলব্ধ পরিকাঠামো সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়  , জমির মালিকানার স্বচ্ছতার কারনে রাজ্যে নতুন উদ্যোগ স্থাপনের পরিকল্পনাকারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করে। একজন ব্যবহারকারী শুধুমাত্র জেলা এবং ব্লকের বিবরণ প্রবেশ করেই তার ব্লক সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন।


দলিল নিবন্ধন

একটি সম্পত্তি নিবন্ধন দলিল ( property registration deed) হল একটি বাধ্যতামূলক চুক্তি যা দুটি পক্ষ দ্বারা সম্পাদিত হয়। সম্পত্তিটি তার নামে নিবন্ধিত হওয়ার পরে ক্রেতা সম্পত্তির আইনী মালিক হন। এই চুক্তি, যা ক্রয় বা জমির দলিল নামেও পরিচিত, অবশ্যই সরকারের খাতায় রেকর্ড করতে হবে। একটি ক্রয় বা জমি দলিল নিবন্ধন এখানে পাওয়া যেতে পারে. । 

উপরন্তু, এই দলিল নিবন্ধনের জন্য ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট এই ওয়েবসাইটেই সম্পন্ন করা যেতে পারে।

যদি দলিলের উপর প্রদেয় স্ট্যাম্প শুল্ক Rs.10,000/- এর বেশি হয় বা প্রদেয় নিবন্ধন মূল্য Rs.5,000/-, বা উভয়ের বেশি হয়, তাহলে নিবন্ধনের জন্য ই-পেমেন্ট প্রয়োজন৷ এই নিবন্ধন পদ্ধতিটি আয়কর বিভাগের সাথে যুক্ত, দলিল নিবন্ধনের সময় নিযুক্ত ব্যক্তিদের প্যান ( PAN verification) যাচাইকরণের অনুমতি দেয়।


বাংলারভূমি 2023-এ লগইন বা রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি - 

স্টেপ বাই স্টেপ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি দেখে নিন এই খানে ক্লিক করে  

শর্টকাটে ১০ টি ধাপ দেখে নিন 👉

ধাপ 1: পশ্চিমবঙ্গ ই-জেলা ওয়েবসাইটে যান।

ধাপ 2: পৃষ্ঠার নীচে, ডানদিকে, "নাগরিক নিবন্ধন" বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 3: নিবন্ধন করতে, প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন এবং "সংরক্ষণ করুন" এ ক্লিক করুন।

ধাপ 4: আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) পাঠানো হবে।

ধাপ 5: OTP লিখুন, এবং আপনার নিবন্ধিত ইমেল ঠিকানায় একটি নিশ্চিতকরণ ইমেল পাঠানো হবে।

ধাপ 6: আপনার রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে, অ্যাক্টিভেশন লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ধাপ 7: আপনার ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে পোর্টালে লগ ইন করুন এবং সম্পত্তি রেকর্ডের জন্য সমস্ত বিবরণ পূরণ করুন।

ধাপ 8: সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন এবং "জমা দিন" বোতাম টিপুন।

ধাপ 9: আপনাকে একটি স্বীকৃতি স্লিপ এবং সেইসাথে একটি আবেদন নম্বর দেওয়া হবে।

ধাপ 10: যাচাইকরণের পরে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ আপনার RoR শংসাপত্র প্রদান করবে।


কিভাবে স্ট্যাটাস অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাক করবেন ?

ধাপ 1: ই-ডিস্ট্রিক্ট ওয়েবসাইটে যান এবং নীচের ডানদিকে কোণায় "পরিদর্শন প্রতিবেদন" বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 2: আপনার "অ্যাপ্লিকেশন আইডেন্টিফিকেশন নম্বর" লিখুন এবং আপনার আবেদনের স্থিতি পরীক্ষা করতে "সার্চ ডকুমেন্ট" এ ক্লিক করুন।


কিভাবে বাংলারভূমি স্ট্যাটাস ট্র্যাক করবেন?

banglarbhumi.gov.in-এ পশ্চিমবঙ্গ ই-ডিস্ট্রিক্ট (বাংলারভূমি) ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করুন এবং "আপনার সম্পত্তি জানুন" বিকল্পটি নির্বাচন করুন। পুনঃনির্দেশিত পৃষ্ঠায় সঠিক জেলা, ব্লক এবং মৌজাতে নেভিগেট করুন।


বাংলারভূমি ওয়েবসাইট দ্বারা প্রদত্ত পরিষেবা

এখানে বাংলারভূমি ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেসযোগ্য কিছু পরিষেবা রয়েছে, যা https://banglarbhumi.gov.in/BanglarBhumi/Home.action-এর মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে

  • জমি বন্টন
  • ROR প্রয়োগ করুন
  • অনলাইন জমি রেকর্ড
  • রাজ্য ভূমি ব্যবহার বোর্ড
  • থিকা ভাড়াটিয়া
  • ভাড়া নিয়ন্ত্রক
  • প্রশিক্ষণ
  • মানচিত্র এবং রেকর্ডের ডিজিটালাইজেশন
  • আইএসইউ ব্যবস্থাপনা
  • খতিয়ান ও প্লট তথ্য


আপনি কীভাবে খতিয়ান এবং প্লটের তথ্য বিভিন্ন উপায়ে পরীক্ষা করতে পারেন তার জন্য এখানে কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে।


1. অনলাইন খতিয়ান চেক

বাংলারভূমি বা ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের পশ্চিমবঙ্গের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং পৃষ্ঠার ডানদিকের শীর্ষে "আপনার সম্পত্তি জানুন" আইকনে ক্লিক করুন।

প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পূর্ণ করুন, ক্যাপচা ইনপুট করুন এবং "দেখুন" বোতামে ক্লিক করুন।

আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে, আপনি প্লট বা "খতিয়ান" দ্বারা অনুসন্ধান করতে পারেন।


2. কোয়েরি নম্বরের মাধ্যমে

বাংলারভূমি বা ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ ওয়েবপেজে নেভিগেট করুন এবং স্ক্রিনের উপরের ডানদিকে "কোয়েরি অনুসন্ধান" আইকনে ক্লিক করুন।

ক্যোয়ারী নম্বর, ক্যোয়ারী বছর এবং ক্যাপচা লিখুন, তারপর প্রশ্নে থাকা প্লট সম্পর্কে যেকোন তথ্য প্রদর্শন করতে "দেখান" এ ক্লিক করুন

 

বাংলারভূমির সুবিধা

বাংলারভূমি ল্যান্ড রিফর্মস পোর্টাল পশ্চিমবঙ্গে সম্পত্তি বিক্রয় এবং ক্রয়কে তুলনামূলকভাবে সহজ করে তোলে।

বাংলারভূমিতে নাম অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি রেকর্ড অনুসন্ধানের পাশাপাশি, যে ব্যক্তিরা পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ড সম্পর্কে তথ্য চান তাদের কোনো সরকারি সংস্থার কাছে যেতে হবে না।


এই ওইয়েবসাইট থেকে আপনি ঠিক কি কি সুবিধা পেতে পারেন ?  

  • যে কেউ, যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময়ে, নাম অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ খতিয়ান প্লটের তথ্য সহ সমস্ত জমি এবং ভূমি সংস্কার তথ্য পেতে বাংলারভূমি পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন। নাম কৌশল দ্বারা পশ্চিমবঙ্গ ভূমি রেকর্ড অনুসন্ধান প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্ত করার একটি দ্রুত উপায়।
  • বাংলারভূমি ওয়েবপেজ পশ্চিমবঙ্গ খতিয়ান প্লট তথ্য সহ রাজ্যের সমস্ত প্রাসঙ্গিক জমি এবং সম্পত্তির তথ্য প্রদান করে।
  • যে উদ্যোক্তারা পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন তারা অবকাঠামোর প্রাপ্যতা পরীক্ষা করতে এবং পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ডের নাম-ভিত্তিক অনুসন্ধান করতে বাংলারভূমি ভূমি তথ্য WB পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি তারা যে জমিতে দোকান বসাতে চান সেখানে অনলাইন খতিয়ান চেকও পেতে পারেন।
  • পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা বাংলারভূমি ওয়েবসাইটে গিয়ে সময় এবং অর্থ বাঁচাতে পারেন।
  • পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো স্থান থেকে বাংলারভূমি ভূমি তথ্য WB পোর্টাল অ্যাক্সেসযোগ্য। নাম অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ডগুলি দেখার সময় একই কথা সত্য।
  • বাংলারভূমি জমির তথ্য WB অনলাইন পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ডকে আরও স্বচ্ছ করেছে।
  • বাংলারভূমির পশ্চিমবঙ্গের ভূমি রেকর্ড নামের টুল দ্বারা অনুসন্ধান সম্পত্তি বিক্রি বা কেনার প্রক্রিয়াকে প্রবাহিত করে।
  • বাংলারভূমি অনলাইন খতিয়ান চেক সমর্থন করে এবং পশ্চিমবঙ্গ খতিয়ান প্লট তথ্যে নাম-ভিত্তিক অ্যাক্সেস দেয়।

বাংলারভূমি কি ? এখানে কি কি কাজ হয় ? what is banglarbhumi.gov.in ? how to work ? What are benefits ? বাংলারভূমি কি ? এখানে কি কি কাজ হয় ? what is banglarbhumi.gov.in ? how to work ? What are benefits ? Reviewed by Wisdom Apps on সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ Rating: 5

how to create account in banglarbhumi.gov.in- বাংলার ভূমি সাইটে কিভাবে একাউন্ট করবেন ? বাংলায় শিখুন ( ছবি সহ স্টেপ বাই স্টেপ )

আগস্ট ২৯, ২০২৩

শিখে নিন  banglarbhumi.gov.in পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন ও লগইন করার পদ্ধতি ( আর ভুল হবে না )

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট banglarbhumi.gov.in । বাংলারভূমি পোর্টাল অনলাইন মিউটেশন, ROR অনুরোধ এবং অনলাইনের মাধ্যমে আরও অনেক পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে।

মনে রাখবেন নামের শেষে gov.in লেখা থাকলে সেই ওয়েবসাইটটি আসল । 

how to create account in banglarbhumi.gov.in- বাংলার ভূমি সাইটে কিভাবে একাউন্ট করবেন ? বাংলায় শিখুন ( ছবি সহ স্টেপ বাই স্টেপ ) how to create account in banglarbhumi.gov.in- বাংলার ভূমি সাইটে কিভাবে একাউন্ট করবেন ?  বাংলায় শিখুন ( ছবি সহ স্টেপ বাই স্টেপ ) Reviewed by Wisdom Apps on আগস্ট ২৯, ২০২৩ Rating: 5

মিউচুয়াল ফান্ড কি (ডাইরেক্ট ও জেনারেল) ? ETF কি ? NFO কি ?

জুলাই ২৮, ২০২৩

what is mutual fund easy

 মিউচুয়াল ফান্ড কি?

ধরুন আপনি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না, কারন মার্কেট বুঝে - ইনভেস্ট করা ও সঠিক সময় টাকা তুলে নেওয়ার মতো সময় আপনার নেই । তাহলে আপনি আপনার টাকা দিয়ে দিতে পারেন কিছু দক্ষ লোকের কাছে যারা আপনার হয়ে শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করবে এবং সামান্য কিছু কমিশন নিজেদের জন্য রেখে দিয়ে বাকি মুনাফা আপনাকেই দেবে । এই দক্ষ লোকেরদের বলে ফান্ড ম্যানেজার আর আপনি তাদের কাছ থেকে টাকার বদলে যেটা নিচ্ছেন সেটা সরাসরি শেয়ার নয় তাই তার নাম মিউচুয়াল ফান্ড । 

তাই বলা চলে -মিউচুয়াল ফান্ড হল একটি আর্থিক বাহন যা শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে স্টক, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট এবং অন্যান্য সম্পদের মতো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের জন্য সম্পদ সংগ্রহ করে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি পেশাদার মানি ম্যানেজারদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা ফান্ডের সম্পদ বরাদ্দ করে এবং ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য মূলধন লাভ বা আয় তৈরি করার চেষ্টা করে। একটি মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিও এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে তার প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যগুলির সাথে মেলে ।

একটা মিউচুয়াল ফান্ডের উদাহরন দেওয়া যাক ঃ 

TATA DIGITAL INDIA FUND ( টাটা ডিজিটাল ইন্ডিয়া ফান্ড ) কে উদাহরন হিসাবে নেওয়া যাক । এটি টাটা কোম্পানীর আন্ডারে থাকা একটা পপুলার মিউচুয়াল ফান্ড । এই ফান্ডে আপনি সামান্য 500 টাকাও যদি রাখেন সেই টাকাটা তারা ৩১ টা কোম্পানীতে নির্দিষ্ট ভাগে বিভক্ত করে বিনিয়োগ করবে । এই চার্টটা দেখুন , কোন কোম্পানীতে কি হারে টাকা বিনিয়োগ করা হবে তার চার্ট - 


প্রধান ১০ টি কোম্পানীর চার্ট দেওয়া হলো , এছাড়া আরো ২১ টি কোম্পানীতে আপনার টাকা বিনিয়োগ করা হবে , দেশী ছাড়াও বিদেশী কোম্পানী যেমন ফেসবুকের শেয়ারেও টাকা রাখা হবে । এভাবে আপনার বিনিয়োগ করা টাকা যতটা পারা যায় রিস্ক ফ্রী করার চেষ্টা করে  । 

বর্তমানে টাটা ডিজিটাল ইন্ডিয়া শেয়ারের ফান্ড ম্যানেজার হলেন মীতা শেঠি , ইনিি ঠিক করেন আপনার ইনভেস্ট করা টাকা কোন কোন কোম্পানীতে লাগানো হবে । এবার সেই কোম্পানীর শেয়ারের দাম বাড়লে আপনার পোর্টফোলিওর ভ্যালুও বাড়তে থাকবে । 

এইভাবে প্রতেকটি মিউচুয়াল ফান্ডে টাকার ঢালার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেই কোম্পানী কোন কোন কোম্পানীতে কি পরিমানে ইনভেস্ট করছে ।  ফান্ড ম্যানেজার কে ? ইত্যাদি ইত্যাদি 

 

মিউচুয়াল ফান্ড কি (ডাইরেক্ট ও জেনারেল) ? ETF কি ? NFO কি ?  মিউচুয়াল ফান্ড কি (ডাইরেক্ট ও জেনারেল) ? ETF কি ? NFO কি ? Reviewed by Wisdom Apps on জুলাই ২৮, ২০২৩ Rating: 5

হোম লোনের সমস্ত নিয়ম , সুদের হার , আবেদন করার পদ্ধতি - বিস্তারিত - Home Loan all Indian Bank

মে ২২, ২০২৩

 ভারতের দুর্দান্ত সুদের হোম লোন,  দেখে নিন পদ্ধতি সহ সুযোগ সুবিধা

ঘরবাড়ি তৈরি করার ইচ্ছা সকলেরই থাকে। তবে অনেকেই সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনা আর্থিক অবস্থার জন্য। তবে বর্তমান সময়ে সেই ইচ্ছে পূরণের সুযোগ করে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। ফলেই ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে জনসাধারণ করতে পারেন তাদের নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি। সাম্প্রতিক হোম লোনে এই চারটি ব্যাঙ্ক জনসাধারণকে বেশ সুবিধা দিচ্ছে। তাই চলুন দেরি না করে সেই চারটি ব্যাঙ্কের হোম লোনের সুদের হার, লোন নেওয়ার পদ্ধতি সহ নানান সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


SBI ব্যাঙ্কের হোম লোনের বিস্তারিত তথ্য

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)-এ হোম লোনের সুদের হার 

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে বেশ অনেকটাই কমিয়েছে সুদের হার। ব্যাঙ্কের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী জানা গিয়েছে গ্রাহকরা যত পরিমাণ টাকা ঋণ নিক না কেন সুদের হার একই থাকবে। অর্থাৎ প্রসেসিং ফি ছাড়াই ৬.৭ শতাংশ হারে গৃহঋণ নিতে পারবেন আবেদনকারীরা।

এসবিআই (SBI)-এ গৃহ ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি

স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে হোম লোন নিতে গেলে প্রথমে YONO Account-এ লগইন করতে হবে। তারপর একটি পেজ আসবে সেই পেজের বাঁদিকের উপরে থাকা তিনটি ডটে ক্লিক করতে হবে। সেখানে গিয়ে লোনে ক্লিক করতে হবে। তারপর হোম লোনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ওই হোম লোনে গিয়ে আবেদনকারীকে ঋণ নেওয়ার জন্য যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। সেই হিসেবে আবেদনকারীকে জন্মের প্রমাণ দিতে হবে, আয়ের উৎসব জানাতে হবে, মাসিক বেতন জানাতে হবে। এর পাশাপাশি অন্য কোনো লোন নিয়ে থাকলেও জানাতে হবে ব্যাঙ্ককে। এরপর ব্যাঙ্ক সেই আবেদনকারীকে জানাবে তিনি কত টাকা লোন নেওয়ার যোগ্য।  এই সবকিছু জমা দেওয়ার পর ব্যাঙ্ক একটি রেফারেন্স নম্বর দেবে আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে কল করা হবে সেই আবেদনকারীকে। 


SBI-এ হোম লোন নেওয়ার নথিপত্র



SBI-এ হোম লোন নিতে গেলে আবেদনকারীকে কোম্পানি বা নিয়োগকর্তাদের পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। 

🔹তিনটি পাসপোর্ট সাইজ ফটো সমেত আবেদনপত্র দেখাতে হবে। 

🔹পরিচয় পত্র হিসেবে দেখাতে হবে আধার কার্ড/ ভোটার আইডি/ প্যান কার্ড/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

🔹অন্যদিকে ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে Telephone Bill/ Electricity Bill/Water Bill/ Piped Gas Bill or copy of Passport/ Driving License/ Aadhar Card।



এছাড়াও যে নথিপত্রগুলি দেখাতে হবে তা হলো 

🔹সম্পত্তির কাগজপত্র, 

🔹লোন নেওয়ার হিস্ট্রি, 

🔹অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, 

🔹বেতনভোগী কর্মী হলে আয়ের পরিমাণ, 

🔹বেতনভোগী না হলেও আয়ের পরিমাণের প্রমাণপত্র।

হোম লোনের সমস্ত নিয়ম , সুদের হার , আবেদন করার পদ্ধতি - বিস্তারিত - Home Loan all Indian Bank হোম লোনের সমস্ত নিয়ম , সুদের হার , আবেদন করার পদ্ধতি - বিস্তারিত  - Home Loan all Indian Bank Reviewed by Wisdom Apps on মে ২২, ২০২৩ Rating: 5

Indian abortion law in bengali চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১

ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩

 চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১

abortion law in india


সাধারণভাবে গর্ভপাত করালে যাঁর গর্ভপাত করানো হচ্ছে তাঁর বিভিন্ন ধরণের অসুস্থতা/কষ্ট দেখা দিতে পারে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ও জীবনহানির আশঙ্কা থাকলে অথবা চিকিৎসক প্রয়োজন বোধ করলে উপযুক্ত চিকিৎসক দ্বারা গর্ভপাত ঘটানো যেতে পারে। এই মর্মে চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১, প্রণয়ন করা হয়।

এই আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :

এই আইন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বাদে ভারতের সব রাজ্যে প্রযোজ্য।

কে গর্ভপাত করাতে পারেন :

এই আইনের শর্ত মেনে গর্ভপাত ঘটালে ভারতীয় দন্ড সংহিতা বা কোনও চালু আইন অনুযায়ী কোনও চিকিৎসক দোষী সাব্যস্ত হবেন না । শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকরাই গর্ভপাত করাতে পারেন।

যে যে ক্ষেত্রে গর্ভপাত করা যায় ঃ

•সাধারণতঃ গর্ভাবস্থার বারো সপ্তাহ পার হয়নি এমন অবস্থায় কেবল একজন রেজিষ্ট্রিভুক্ত চিকিৎসক গর্ভপাত ঘটাতে পারেন

• বারো সপ্তাহ পেরিয়েছে কিন্তু কুড়ি সপ্তাহ পার হয়নি এই অবস্থায় অন্তত পক্ষে দুজন চিকিৎসকের যদি এই অভিমত হয় নিম্নলিখিত তিনটি ক্ষেত্রে গর্ভপাত ঘটানো আবশ্যক তাহলে সেহ ক্ষেত্রগুলিতে গর্ভপাত করা যাবে :-

• এই গর্ভাবস্থা যদি চলতে থাকে তবে গর্ভবতী মহিলার জীবনের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে;

• তার মানসিক বা / ও শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে; বা

• গর্ভস্থ শিশুটি জন্মালে সে এমন শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিকতায় ভুগবে যার ফলে সে গুরুতর প্রতিবন্ধী হয়ে পড়তে পারে।

• কিন্তু কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক সৎ উদ্দেশ্যে যদি মনে করেন কোনও গর্ভবতী মহিলার প্রাণ রক্ষার জন্য জরুরী ভাবে এখনই গর্ভপাত করা প্রয়োজন তবে সেক্ষেত্রে একজন মাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকই গর্ভপাত করতে পারেন।

• যখন কোন গর্ভবতী মহিলা অভিযোগ করেন যে তিনি ধর্ষিতা হওয়ার জন্য তাঁর গর্ভসঞ্চার হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এইভাবে গর্ভাবস্থা হওয়ার যন্ত্রণা ও উদ্বেগের কারণে সেই গর্ভবতী মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে, এই অনুমানের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা গর্ভপাত করতে পারেন।

•স্বামী বা স্ত্রীর ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি কার্যকরী না হওয়ার জন্য যদি গর্ভসঞ্চার হয়, তবে এই অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা গর্ভবতী মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে এই অনুমানের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা গর্ভপাত করতে পারেন।

• কোন মহিলার গর্ভাবস্থা এগিয়ে যেতে থাকলে সত্যিই তাতে-স্বাস্থ্য হানির ঝুঁকি আছে কিনা তা নিরূপণের জন্য গর্ভবতী মহিলার পরিবেশ পরিস্থিতি বাস্তবিক পক্ষে কী বা ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা বুঝে দেখতে হবে।

ক) ১৮ বছরের কমবয়সী মহিলার অভিভাবকের লিখিত অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করানো যাবে না;

অথবা ১৮ বছর বয়স হলেও কোন মহিলা যদি মানসিক প্রতিবন্ধী হন তবে তাঁর গর্ভপাত তাঁর অভিভাবকের লিখিত অনুমতি ছাড়া করা যাবে না।

খ) বিশেষ ক্ষেত্র বাদে, গর্ভবতী মহিলার অনুমতি ছাড়া কোন গর্ভপাত করানো যাবে না।

কোথায় গর্ভপাত করানো যাবে :

ক) সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত কোন হাসপাতালে,

অথবা

খ) সরকার বা সরকার গঠিত জেলাস্তর কমিটি কর্তৃক সাময়িকভাবে অনুমোদিত কোন জায়গায়। সরকার এই জেলাস্তর কমিটি তৈরী করবেন এবং এই কমিটির সভাপতি / সভানেত্রী হবেন চীফ মেডিক্যাল অফিসার অথবা ডিস্ট্রিক্ট হেলথ্ অফিসার। এছাড়া অন্যত্র নয় ।

আইনানুযায়ী গর্ভপাত না করলে শাস্তি :

ক) রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ গর্ভপাত করলে তার কমপক্ষে ভারতীয় দন্ড সংহিতার বিধান অনুযায়ী দু'বছর আর সবচেয়ে বেশি সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড হতে পারে।

খ) সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত হাসপাতাল অথবা সরকার বা সরকার গঠিত জেলাস্তর কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত জায়গা ছাড়া অন্য জায়গায় গর্ভপাত করলে তার কমপক্ষে দু'বছর থেকে সাত বছরের কারাদন্ড হতে পারে।

গ) উপরে বলে দেওয়া জায়গা ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় গর্ভপাত করালে সেই জায়গার মালিক, সংস্থার প্রশাসনিক প্রধান অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কমপক্ষে দু'বছর থেকে সাতবছর সশ্রম কারাদন্ড হতে পারে।

জেনে রাখা দরকার

কোন মহিলাকে যদি কোন ব্যক্তি (এমনকি, স্বামী হলেও) উক্ত মহিলার অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করায় তাহলে ঐ মহিলা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের (এন.জি.ও.) সাহায্য নিতে পারেন বা নিজ এলাকাভুক্ত থানায় এফ.আই.আর. করতে পারেন (যদি না তার ১৮ বছরের কম বয়স হয় বা মানসিক প্রতিবন্ধী হন) ।


Indian abortion law in bengali চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১ Indian abortion law in bengali  চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১ Reviewed by Wisdom Apps on ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ Rating: 5

যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষা আইন । কোনটা অপরাধ বলে গন্য হবে ? সাজা কি ? ভিডিওতে শিশুকে ব্যাবহার করা যাবে কি ? জেনে নিন

ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
child sexual abuse law in bengali

শিশু সুরক্ষা আইন কেন প্রনয়ন করা হয়েছে ?

যৌন প্রহার, যৌন হেনস্থা, অশ্লীলতা থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এবং এইসব অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।


শিশুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ গুলি কিভাবে ভাগ করা হয়েছে ?

শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধগুলিকে মোটামুটি পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে ঃ

(১) ভেদক যৌন প্রহার; (২) গুরুতর ভেদক যৌন প্রহার; (৩) যৌন প্রহার; (৪) গুরুতর যৌন প্রহার ; (৫) যৌন হেনস্থা


শিশুর সাথে যৌন ক্রিয়া করলে কি সাজা হতে পারে ?

যখন কোন ব্যক্তি তার নিজের বা অন্য কোন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ বা শরীরের অন্য কোন অংশ বা কোন বস্তু শিশুর যোনি, মুখে, মূত্রনালীতে বা মলদ্বারে বলপূর্বক প্রবেশ করায় অথবা শিশুটির শরীরের কোন অংশ এমনভাবে চালনা বা ব্যবহার করে যাতে ঐ বলপূর্বক প্রবেশ ঘটে অথবা কোন শিশুকে ঐ ব্যক্তির বা অন্য কোন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ, মূত্রনালী বা মলদ্বারে মুখ দিতে বাধ্য করে বা ঐ ব্যক্তি শিশুর পুরুষাঙ্গ, যোনি, মূত্রনালী বা মলদ্বারে মুখ দেয়, তখন ভেদক যৌন প্রহার (Penetrative Sexual Assault) সংঘটিত হয়। এই অপরাধের সাজা কমপক্ষে সাত বছর সর্বাধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানাও ।


শিশুর সাথে যৌন অপরাধ করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে

ভেদক যৌন প্রহার বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুতর বা প্রকুপিত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিশেষ ক্ষেত্রগুলিকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে-- অপরাধী কোন ব্যক্তি ও অপরাধ কোন পরিস্থিতিতে ?

ব্যক্তির দিক থেকে--কোন পুলিশ অফিসার; সশস্ত্র বা সুরক্ষা বাহিনীর কোন সদস্য; সরকারি আধিকারিক ; সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক বা কর্মী; শিশু-পরিষেবা নিযুক্ত কোন সংস্থার পরিচালক বা কর্মী বা সকলকে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা কর্মী শিশুর সংগে আত্মীয়তায় সম্পর্কিত কোন ব্যক্তি পরিস্থিতির দিক থেকে- যূথবদ্ধভাবে ভেদক যৌন প্রহার; মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র; আগুন, তপ্তপদার্থ বা ক্ষয়কারী পদার্থ ব্যবহার; শিশুকে সাংঘাতিকভাবে আহত করা বা তার শারীরিক ক্ষতি করা বা তার যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি করা; শিশুকে স্থায়ীভাবে জড় করে দেওয়া বা মানসিকভাবে অসুস্থ করে দেওয়া বা শিশুর স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজে তাকে অপারগ করে দেওয়া; শিশুকে অন্তঃসত্ত্বা করা; শিশুর শরীরে HIV বা অন্য জীবনসংশয়ী রোগ বা সংক্রমণ তৈরি করা; শিশুর শারীরিক জড়তা বা মানসিক পঙ্গুত্বের সুযোগ নেওয়া; শিশুকে বারবার ভেদক যৌন প্রহারের শিকার করা; বারো বছর বয়সের কম শিশুকে ভেদক যৌন প্রহার করা; শিশুর সংগে বিশ্বাসের সম্পর্ক আছে, এমন পরিস্থিতি; শিশু অন্তঃসত্ত্বা জেনেও তার সংগে ভেদক যৌন সম্পর্ক; কোন সাম্প্রদায়িক বা উপদলীয় হিংসায়; যৌনসম্পর্কের পর হত্যার চেষ্টা; ঘটনার পর শিশুকে নগ্ন হয়ে জনসমক্ষে হাঁটতে বাধ্য করা; পুনঃ পুনঃ একই অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি ন্যূনতম দশ বছর সর্বাধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা।


যৌন ইচ্ছা নিয়ে শিশুর শরীর কেবলমাত্র স্পর্শ করলেও সেটা শাস্তিমূলক অপরাধ

যদি কোন ব্যক্তি যৌন উদ্দেশ্যে কোন শিশুর যোনি, পুরুষাঙ্গ, মলদ্বার বা বুক স্পর্শ করে অথবা শিশুকে ঐ ব্যক্তির বা অন্য কোন ব্যক্তির যোনি, পুরুষাঙ্গ, মলদ্বার বা বুক স্পর্শ করতে বাধ্য করে অথবা যৌন উদ্দেশ্যে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত অন্য কোন কাজ করে (কিন্তু ভেদক যৌন প্রহার নয়), সে যৌন প্রহারের অপরাধে দোষী হবে। এই অপরাধের জন্য অন্তত তিনবছর সশ্রম বা বিনাশ্রম সর্বাধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা হবে।


যৌন প্রহার বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গুরুতর যৌন প্রহার গণ্য হবে। গুরুতর ভেদক যৌন প্রহারের (aggravated penetrative sexual assault) মতো এই অপরাধ-ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা পরিস্থিতি-কেন্দ্রিক হতে পারে। তবে একাধিক ব্যক্তি শিশুকে গুরুতর যৌন প্রহার করলে ঐ কাজ গুরুতর ভেদক যৌন প্রহার হিসাবে গণ্য করা হবে এবং সেই মোতাবেক সাজা হবে। গুরুতর যৌন প্রহারের শাস্তি হল ন্যূনতম পাঁচ বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম সর্বাধিক সাত বছর কারাদণ্ড,সংগে জরিমানা-ও।



শিশুকে অশ্লীল ছবি / ভিডিও দেখানো বা অশ্লীল ইশারা করলে সেটা শাস্তিমূলক অপরাধ

যদি কোন ব্যক্তি যৌন উদ্দেশ্যে (১) শিশু দেখতে বা শুনতে পায় এমন শব্দ বা ইঙ্গিত বা অঙ্গভঙ্গি বা কোন ইঙ্গিতবহ বস্তু বা শরীরের কোন অংশ ব্যবহার করে, অথবা (২) ঐ ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির সামনে শিশুকে তার শরীর বা শরীরের কোন অংশ দেখাতে বাধ্য করে, অথবা (৩) অশ্লীল বিবরণ বা ছবি শিশুকে দেখায়, অথবা (৪) বারবার বা অনবরত প্রত্যক্ষভাবে বা কোন বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার মাধ্যমে শিশুকে অনুসরণ, লক্ষ্য বা যোগাযোগ করে, অথবা (৫) কোন বৈদ্যুতিন বা চিত্রনাট্য মাধ্যমে শিশুর শরীরের কোন অংশ বা শিশুর যৌনক্রিয়ার ছবি প্রকাশ করার ভয় দেখায়, অথবা (৬) কোন শিশুকে ভয় বা লোভ দেখিয়ে বা উপহার দিয়ে অশ্লীল উদ্দেশ্যে ফুসলে নেয়, সে শিশুকে যৌন হেনস্থার অপরাধে দোষী হবে। এই অপরাধের সাজা তিনবছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশুকে অশ্লীলভাবে দেখালে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ

উপরের পাঁচটি অপরাধ ছাড়াও এই আইনে আরো দুটি অপরাধ হতে পারে। প্রথমটি হল শিশুকে অশ্লীলভাবে যে কোন ধরণের মাধ্যমে ব্যবহার করা, তা বিজ্ঞাপনেই হোক বা টেলিভিশন চ্যানেলের কোন অনুষ্ঠানেই হোক বা ইণ্টারনেটে হোক বা কোন মুদ্রণমাধ্যমে বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে হোক, বা তা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হোক বা ছড়িয়ে দেবার জন্য হোক, তার উদ্দেশ্য যদি যৌন সন্তুষ্টি, তার শাস্তি হল পাঁচবছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে সাত বছর পর্যন্ত ও জরিমানাও। এই অপরাধের সংগে যদি অন্য যৌন অপরাধ থাকে, সেই অনুযায়ী সাজা হবে, এমনকী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে, সংগে জরিমানা। আবার, যদি কেউ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ঐ অশ্লীল বস্তু সঞ্চয় করে, তার তিনবছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয়ই শাস্তি হবে। দ্বিতীয়টি হল, যৌন অপরাধে সহায়তা বা সহযোগিতা করা বা প্ররোচনা দেওয়া। এই অপরাধের শাস্তি মূল অপরাধের সমান।


শিশুর উপর যৌন অত্যাচার / হেনস্থা বা অনুরূপ অপরাধ হলে কোথায় জানাবেন ?

যে কোন ব্যক্তি, শিশুর নিজেও, এই অপরাধের বা তা সংঘটনের সম্ভাবনার কথা বিশেষ জুভেনাইল পুলিশ বা স্থানীয় পুলিশকে (থানা) জানাতে পারে। সমস্ত ধরণের মাধ্যমে হোস্টেলের হাসপাতালের, ক্লাবের ও তার কর্মীর উপর আইনত দায়িত্ব ন্যস্ত আছে, যাতে শিশুর প্রতি যৌন অপরাধের সংবাদ তারা পুলিশকে জানায় । নালিশ না জানানো বা তা নথিভুক্ত না করা এই আইনে শাস্তিযোগ্য। এই আইনের অধীনে মামলাগুলির বিচার হবে প্রতি জেলায় একটি বিশেষ আদালতে। এই আইনে আরো বলা আছে যে, এই আইনের ৩, ৫, ৭ ও ৯ ধারায় বিচারকালীন বিশেষ আদালত পূর্বানুমান করবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধটি সংঘটিত করেছেন। আদালত আরো পূর্বানুমান করবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধমূলক মানসিক অবস্থা ছিল । এই আইনে মামলা চলাকালীন নির্যাতিত শিশু যাতে অভিযুক্তের সংগে প্রত্যক্ষ সাক্ষাতে না আসে তা দেখার দায়িত্ব বিশেষ আদালতের।

মনে রাখবেন শিশু সুরক্ষা আইন ২০১২ অনুসারে এই মামলার বিচার হবে গোপনে (in camera), মুক্ত আদালতে নয়। মামলাতে আইনজীবির সাহায্য নেওয়া বা পাওয়া যে শিশুর অধিকার সেকথা এই আইনে স্পষ্টভাবে উল্লিখিত।

যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষা আইন । কোনটা অপরাধ বলে গন্য হবে ? সাজা কি ? ভিডিওতে শিশুকে ব্যাবহার করা যাবে কি ? জেনে নিন যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষা আইন । কোনটা অপরাধ বলে গন্য হবে ? সাজা কি ? ভিডিওতে শিশুকে ব্যাবহার করা যাবে কি ? জেনে নিন Reviewed by Wisdom Apps on ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ Rating: 5

পণপ্রথা বিরোধী আইন- পন চাইলে কোথায় জানাবেন ? সাজা কি ? পণপ্রথা নিষিদ্ধকরণ আইন বিস্তারিত

অক্টোবর ৩০, ২০২২

dowry law in bengali

পণপ্রথা নিষিদ্ধকরণ আইন, ১৯৬১ (সংশােধনী, ১৯৮৬)

হিন্দু বিবাহে পণপ্রথা একটি দীর্ঘকালের কুপ্রথা। এই প্রথার ফলে বিশেষ করে মহিলারা স্বামীর গৃহে বিশেষভাবে নিগৃহীত হয়। এই কুপ্রথা নিষিদ্ধ করে ১৯৬১ সালে যে আইন তৈরী হয়, তাতে অনেক ফাঁক ছিল বলে সমাজের উপকার হয়নি। উল্টে পণের চাহিদা উৎকট আকারে বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে বঁধু নির্যাতন, আত্মহত্যা বা হত্যা নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। দফায় দফায় আইন সংশােধন করে, শেষে ১৯৮৬ সালে যে আকার নিয়েছে তার বিশেষ প্রয়ােজনীয় অংশগুলি দেওয়া হলো ।

'পণ' কাকে বলে?

বিয়ের উভয়পক্ষের একপক্ষ (বরপক্ষ / কনেপক্ষ) বা তার বাবা বা মা অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন জন যদি দিতে অন্য পক্ষ অথবা তার বাবা বা মা অথবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন জনকে বিয়ে করার শর্ত হিসাবে বিয়ে উপলক্ষে দ্বিত আগে বা পরে, অথবা অনুষ্ঠানের দিনে সােজাসুজি বা ঘুরপথে কোন সম্পত্তি অথবা মূল্যবান কোন জিনিস (যেমন নগদ টাকা, টিভি, রেফ্রিজারেটর, সােনা ইত্যাদি) দিতে বা দেওয়ার জন্য রাজি থাকেন তবে তাকেই ‘পণ' বলে।

কিন্তু যেসমস্ত ব্যক্তি মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়তী আইন) অনুযায়ী চলেন তাঁদের ক্ষেত্রে 'যৌতুক' বা 'মােহর। (দেন মােহরও বলা হয়) উপরে যে পণের কথা বলা হয়েছে তা এর আওতায় আসবে না।


'পণ' দেওয়া / নেওয়ার শাস্তি

( পণ যে দেয় ও যে নেয় উভয় পক্ষেরই শাস্তি হবে )

* পণ দেওয়া নেওয়া, বা লেনদেনে সাহায্য করার সাজা হবে কমপক্ষে পাঁচ বছর জেল এবং জরিমানা, কমপক্ষে পনের হাজার টাকা অথবা যৌতুকের মূল্য দুইয়ের মধ্যে যেটি বেশি।

কিন্তু কোন রকম জোর জবরদস্তি বা দাবি ছাড়া যদি বর / কনেকে উপহার দেওয়া হয়, তা কোন অপরাধ হবে না । তবে সব উপহারের লিখিত তালিকা রাখতে হবে।

" প্রচলিত রীতি বা আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার দিলে কোন শাস্তির প্রশ্ন উঠবে না (আইনের ফাঁক)।


'পণ দাবি করার শাস্তি -

সোজাসুজি বা ঘুরপথে পণের দাবি করলে সাজা হবে কমপক্ষে ছ' মাস থেকে দু' বছর জেল এবং দশ হাজার টাকা। পর্যন্ত জরিমানা। খবরের কাগজ বা অন্যপ্রচার মাধ্যমে যদি ছেলে/মেয়ে বা অন্য কোনও আত্মীয়ের বিয়ের জন্য টাকা বা ব্যবসায়ভা" বা ঐ ধরণের লােভ দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তবে ছাপাখানা, প্রচারক, প্রকাশকের সাজা হবে ছ' মাস থেকে পাই বছর জেল অথবা পনের হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা। )


'পণ' দেওয়া / নেওয়ার অভিযোেগ কার কাছে জানাতে হবে ?

(ক) কোনাে ছেলের বাড়ির লােকেরা যদি পণ দাবি করে তাহলে যার কাছে দাবি করা হয়েছে তিনি নিজে বা কোনাে এন.জি.ওর সাহায্যে থানায় এফআইআর করতে পারেন। আর যদি পুলিশ অভিযােগ না নেয় তবে তার এলাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযােগ জানাতে পারেন।

(খ) রাজ্য সরকার এই আইন প্রয়ােগের জন্য বিশেষ অফিসার নিয়ােগ করতে পারেন এবং প্রতিটি জেলার সমাজ কল্যাণ আধিকারিকের কাছে অভিযােগ জানানাে যেতে পারে।

(গ) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজ অবগতির ভিত্তিতে অথবা পুলিশের রির্পোটের ভিত্তিতে অভিযােগের বিচার করতে পারবেন।

(ঘ) পাত্র/পাত্রী যার কাছ থেকে পণ চাওয়া হয়েছে অথবা তার বাবা বা মা । যে কোনাে আত্মীয়, অথবা যে কোনো স্বীকৃত অসরকারী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান নালিশ জানাতে পারে ।

মামলা দায়ের করার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই।

অভিযােগ প্রমাণিত হলে এই অপরাধ জামিন অযােগ্য। এক্ষেত্রে কোন আপস করা যাবে না৷ | যার বিরুদ্ধে অভিযােগ তাকে প্রথমেই দোষী বলে ধরা হবে ; নিজেকে নিরপরাধ বলে প্রমাণ করার দায় তার নিজের।


পণজনিত মৃত্যু

বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যে কোন ক্ষেত্রে (306IPC) ৩ মাস, কোন ক্ষেত্রে (304BIPC) ৬ মাস, কোন ক্ষেত্রে (306IPC, 304BIPC, 498A) ৭ বছরের মধ্যে বধূ আত্মহত্যা করলে অথবা তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে, সাক্ষ্যপ্রমাণের মধ্যে দিয়ে যদি প্রমাণিত হয় যে মৃতার স্বামী বা অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের দুর্ব্যবহার, শারীরিক অত্যাচার তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে, বা তার মৃত্যু ঘটানাে হয়েছে , তবে ধরে নেওয়া যায় যে এর পিছনে জোর করে পণ আদায়ের চক্রান্ত রয়েছে।


কার কাছে অভিযােগ জানাতে হবে -

অপরাধ যে এলাকায় ঘটেছে সেই এলাকার থানায় অভিযােগ জানাতে হবে। শুধু জেনারেল ডায়েরী (GD) করলে পুলিশ মামলা করতে বাধ্য থাকে না। এফআইআর, দাখিল করতে হবে যার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা শুরু করতে বাধ্য। সেশনস্ কোর্টে । প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এই মামলার বিচার হবে'।

শাস্তি : জামিন অযােগ্য অপরাধ। কমপক্ষে ৭ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ।

পণ দেওয়া নেওয়ার ব্যাপারে কোনাে চুক্তি স্বাক্ষরিত থাকলে তা বাতিল করা হবে।


পণের টাকা বা সামগ্রী স্ত্রীধন হিসাবে বন্ধু বা তাঁর উত্তরাধিকারীর প্রাপ্য।

(ক) এই পণ বিয়ের এক বছর আগে দেওয়া হলেও একই নিয়ম খাটবে।

(খ) বিয়ের সময় বা এক বছর পরে দেওয়া হলেও তাই।

(গ) নাবালিকা বধূর ১৮ বছর বয়স হলেই সে সব সামগ্রী তাঁকে দিয়ে দিতে হবে।


পণপ্রথা বিরোধী আইন- পন চাইলে কোথায় জানাবেন ? সাজা কি ? পণপ্রথা নিষিদ্ধকরণ আইন বিস্তারিত পণপ্রথা বিরোধী আইন- পন চাইলে কোথায় জানাবেন ? সাজা কি ? পণপ্রথা নিষিদ্ধকরণ আইন বিস্তারিত Reviewed by Wisdom Apps on অক্টোবর ৩০, ২০২২ Rating: 5

বিড়ি এবং সিগার শ্রমিক আইন । এই আইন না মানলে মালিকের ৩ মাস জেল হতে পারে

অক্টোবর ২৬, ২০২২

law for biri labour

বিড়ি এবং সিগার শ্রমিক (নিয়ােজনের শর্তাবলী) আইন, ১৯৬৬

বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেখানে বিড়ি এবং সিগার শ্রমিকরা কাজ করেন, তা খুবই অসন্তোষজনক। যদিও কারখানা। আইন, ১৯৪৮ এই ক্ষেত্রগুলির ক্ষেত্রেও প্রযােজ্য, কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই মালিক বা মালিকপক্ষ এই নিয়মগুলি মেনে চলেন না এবং কাজের ক্ষেত্রগুলিকে ছােট ছােট ভাগে ভাগ করে দেন।

অসংঘটিত বিড়ি শ্রমিক সমস্যা ও আইন

বিড়ি শ্রমিক যাঁরা বিড়ি বানান তারা ঠিকাদারদের থেকে কাজের বরাত নেন এবং নিজেদের বসত বাড়িতেই কাজ করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাড়ীর মেয়েরাই এই কাজ করে থাকেন। এই কাজের জন্য কাঁচামাল তারা পান হয় মালিক বা মালিক পক্ষের কাছ থেকে, না হয় ঠিকাদারদের কাছ থেকে। এই শ্রমিকরা বিশেষ করে মহিলারা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক হওয়ায় নিজেদের দাবি ও সুযােগ-সুবিধা আদায়ে সক্ষম নন। একটি কি দু’টি রাজ্য সরকার এই ধরণের শ্রমিকদের কাজের অবস্থার উন্নতি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ আইন পাশ করেছেন। কিন্তু এই আইন তারা আজও বলবৎ করতে সক্ষম হননি। এই ধরণের অবস্থার মধ্যে যেসব শ্রমিকরা কাজ করতে বাধ্য হন তাদের কথা মাথায় রেখে, এই বিষয়ের ওপর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের প্রয়ােজনীয়তা অনুভূত হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বর্তমানের ‘বিড়ি এবং সিগার শ্রমিক বিল (নিয়ােজনের শর্তাবলী) ১৯৬৬ সালের ৩০ শে নভেম্বর, পার্লামেন্টে গৃহীত এবং অনুমােদিত হয়। ১৯৯৩ সালে এই আইনটি সংশােধিত হয় এবং ‘বিড়ি এবং সিগার শ্রমিক (নিয়ােজনের শর্তাবলী) আইন, ১৯৯৩' নামে পরিচিত হয়।

কোন মালিক এই আইনের অধীনে উপযুক্ত লাইসেন্স ছাড়া বিড়ি/সিগারের কারখানা হিসাবে কোন স্থানকে ব্যবহার করতে পারবেন না। কোন স্থান বা ঘরবাড়িকে বিড়ি/সিগার তৈরীর শিল্পতালুক হিসাবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে হবে। ঐ দরখাস্তে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন্ সময়ে সর্বাধিক কতজন শ্রমিককে কাজে লাগানাে হবে এবং সেই সঙ্গে ঐ স্থান বা ঘর বাড়ির যথাবিহিত নকশাও পেশ করতে হবে। এই আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ - • রাজ্য সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি ঘােষণার মাধ্যমে এমন কোন আধিকারিককে ইন্সপেক্টর হিসাবে নিয়ােগ করতে পারেন, যাকে রাজ্য সরকার এই কাজের উপযুক্ত বলে মনে করেন এবং তার ওপর স্থানীয় কর্তৃত্ব অর্পণ করতে পারেন। এর সঙ্গে সঙ্গে সেই আধিকারিককে যে এলাকা জুড়ে কাজ করতে হবে তার স্থানীয় সীমাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।।


• কোন শ্রমিক বা কোন ব্যক্তি যদি এই আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে কোন ইন্সপেক্টরের কাছে অভিযােগ জানান, তাহলে সেই ইন্সপেক্টর ঐ বিষয়ে তদন্ত করতে পারবেন এবং তিনি কখনও-ই অভিযােগকারী/কারিণীর নাম তিনি না চাইলে কাউকে/কোথাও জানাবেন না।


• কোন ব্যক্তিকে এমন কোন প্রশ্ন করা বা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না যা তার বিরুদ্ধে যেতে পারে। এমনকি, অভিযােগের ওপর নির্ভর করে যদি কোন ইন্সপেক্টর অভিযুক্ত মালিক বা মালিক পক্ষ বা ঠিকাদার বা তাদের কোন প্রতিনিধিদের অফিসে বা কারখানায় এই আইনের বলে পরিদর্শনের জন্য যান, তাহলেও সেই ইন্সপেক্টর কাউকে জানাবেন না যে তিনি কোন অভিযােগের ভিত্তিতে এই পরিদর্শন করছেন।


• যদি ইন্সপেক্টরের সন্দেহ হয় যে মালিক এই আইন কোন ভাবে লঙঘন করে কারখানা চালাচ্ছেন তাহলে তিনি নােটিশ দিয়ে মালিকের অনুপস্থিতিতেও ঐ স্থানে প্রবেশ করতে পারেন। এই আইনের অধীনে এমন কোন বিভাগ/উপধারা নেই, যার মাধ্যমে কোন অভিযােগকারী/কারিণী তার নাম জানানাের জন্য অনুমতি দিতে পারে বা অভিযােগকারী/কারিণীর কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া যেতে পারে।


বিড়ি বা সিগার কোম্পানীর মালিকের দায়িত্ব

• কোন নর্দমা, শৌচাগার থেকে কোনরকম দুর্গন্ধ যাতে না আসে এজন্য পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করতে হবে।

• কারখানার প্রতিটি ঘরে খােলা হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।

• তাপমাত্রা যাতে অস্বস্তি ও অসুস্থতার কারণ না হয়, সে বিষয়ে নজর দিতে হবে।

• কর্মীদের কাজ ও চলাফেরার সব জায়গায় যথেষ্ট আলাে থাকা চাই।

• যে সব কারখানায় বিড়ি বা সিগারেট তৈরির প্রক্রিয়ায় এমন জিনিস তৈরি হয় যাতে বিষাক্ত ধোয়া বা ধুলোর মতাে গুড়াে বা অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর জিনিস হাওয়ায় ছড়িয়ে যায়, সে সব জায়গায় কর্মীদের নাকে-চোখেমুখে যাতে তা না ঢুকে যায় তার জন্য মালিক বা মালিক পক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

• কারখানার বিভিন্ন জায়গায়, কর্মীদের সহজ নাগালের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিশ্রুত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।

• পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের জন্য কারখানা চত্বরে আলাদা আলাদা শৌচাগার থাকবে । ঠিক হবে কতগুলাে কলঘর প্রয়ােজন। এগুলাের ডিজাইন থেকে মেরামতি ও নিয়মিত সাফাই ব্যাবস্থায় কোনরকম ঢিলে দেওয়া বা গাফিলতি চলবে না। মালিক বা মালিক পক্ষকে এক্ষেত্রে শ্রমিকদফের স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

• প্রতিটি কারখানা চত্বরে, বিশেষ করে যেখানে তামাক মেশানাে ও ঘঁকা হয় অথবা যেখানে গরম তাওয়ায় বিড়ি সেঁকা হয়, সেখানে শ্রমিকদের জন্য মালিক বা মালিকপক্ষ অবশ্যই হাত-মুখ ধােয়ার জায়গার ব্যবস্থা করবেন ।

• যেখানে ত্রিশজনের বেশি মহিলা কাজ করেন সেখানে তাদের ৬ বছরের নীচে শিশুদের দেখভালের জন্য ঘরের ব্যবস্থা থাকবে।

- এর তত্ত্বাবধান যারা করবেন তাদের ঠিকমতাে ট্রেনিং থাকা চাই।

- খাওয়া-দাওয়া,কাপড়জামা বদলানাে ও কাচার ব্যবস্থাও থাকবে।

- জায়গাটিতে যথেষ্ট আলাে ও হাওয়া থাকবে।'

- বিনামূল্যে বাচ্চাদের জন্য দুধ ও অন্যান্য খাদ্যের ব্যবস্থা থাকতে পারে।

- মায়েদের অনুমতি থাকবে ঠিক সময়ে শিশুদের খাইয়ে যাওয়ার।


• প্রত্যেক কারখানা চত্বরে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।

• কোন কর্মীকে দিয়ে দিনে নয় ঘন্টা এবং সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টার বেশি কাজ করানাে যাবে না।

• কোন প্রাপ্তবয়স্ক কর্মী (১৮ বছর বয়সের উপর) কোন খারখানায় নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজ করলে তা ‘ওভারটাইম' হিসাবে ধরা হবে এবং সেই অনুযায়ী ‘ওভারটাইম’-এর রেটে টাকা পাবেন। এক্ষেত্রেও কাজের সময় কখনােই দিনে দশ ঘন্টা এবং সপ্তাহে চুয়ান্ন ঘন্টার বেশি হবে না।

• কোন কারখানায় যারা ওভারটাইম কাজ করেন তাদের এই বাড়তি সময়ের জন্য দ্বিগুণ রেটে মাইনে দিতে হবে।

• যাঁরা “পীস-রেটে কাজ করেন, তাদের সারাদিনের রােজগার বেতনের হার হিসাবে ধরতে হবে। অর্থাৎ সারাদিন কাজ করলে একজন কর্মীর যা মাইনে হয়, সেই রেটে উক্ত কর্মীর ওভারটাইমের বেতনের হিসেব ধরতে হবে।

• পাঁচঘন্টা কাজ করার পর অন্ততঃ আধ ঘন্টা বিশ্রামের সময় সমস্ত কর্মীকে দিতে হবে।

• বিশ্রামের সময় সমেত সাড়ে দশ ঘন্টার বেশি একদিনে কোন কর্মীকে দিয়ে কাজ করানাে চলবে না। তবে মুখ্য পরিদর্শক যদি নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে লিখিত কোন নির্দেশ জারি করেন তাহলেও কাজের নির্ধারিত সময় মােট বারাে ঘন্টার বেশি হবে না।


• সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন কারখানা পুরাে ছুটি থাকবে। মালিক বা মালিক পক্ষকে আগে থেকে কারখানা চত্বরে সবার নজরে পড়বে এমন জায়গায় নােটিস দিয়ে ছুটির দিন সম্বন্ধে সবাইকে নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে। এই ছুটির দিনটি মালিক বা মালিক পক্ষ যখন তখন বদলাতে পারবেন না। যদি কেউ বদলাতে চান তাহলে আগে মুখ্য পরিদর্শকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই বদলাতে পারবেন এবং তিনমাসের মধ্যে মাত্র একবার এইভাবে দিন বদলানাে যাবে।


বিঃ দ্রঃ যখন বিড়ি বা তামাকের পাতা ভিজানাের কাজ চলবে, তখন সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে। তবে এর পরিবর্তে সপ্তাহের অন্য কোন দিন ছুটি দিতে হবে।


• মহিলা এবং কমবয়সী ছেলেমেয়েরা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৭টার মধ্যেই শুধু কাজ করতে পারবে, তার বাইরে নয়।

• ১৪ বছরের নীচে কাউকে এই কারখানায় নিয়ােগ করা যাবে না।

• প্রতি কর্মী এক বছরে বেতনসমেত ছুটি পাওয়ার যােগ্য ও

ক) প্রাপ্তবয়স্ক হলে - কুড়ি দিন কাজ মানে একদিন ছুটি।

খ) কমবয়সী হলে - পনের দিন কাজ মানে একদিন ছুটি।

• মালিকের আবেদন সাপেক্ষে কারখানা চত্বরের বাইরে পাতা ভেজানাে বা কাটার জন্য সরকার বিশেষ অনুমতি দিতে পারেন।

• কোন মালিক বা মালিক পক্ষ কোনরকম যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোন কর্মীকে, যিনি অন্ততঃ ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করছেন, হঠাৎ করে ছাঁটাই করতে পারেন না। এক্ষেত্রে অন্ততঃ একমাসের নােটিশ উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে দিতে হবে।

• অবশ্য যদি কোন কর্মীর বিরুদ্ধে এই মর্মে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় যে সে দোষী এবং অশােভন আচরণে অভিযুক্ত এবং মালিক বা মালিক পক্ষ তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে যে তথ্য পেয়েছেন তা উক্ত কমাকে ছাঁটাই করার পক্ষে যথেষ্ট, তাহলে সেই কর্মীকে ছাঁটাইয়ের জন্য কোন নােটিশ দেওয়ার দরকার নেই।

• ছাঁটাই হলে শ্রমিক যথাযােগ্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারে যে, কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই মালিক তাকে ছাঁটাই করেছে।



এই আইন না মানার শাস্তি ( কারখানার মালিকের জন্য )


এই আইনের কোন ধারা কেউ লঙঘন করলে অথবা আপিল-কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী মজুরি বা ক্ষতিপূরণ দিলে, প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং পরবর্তী অপরাধের ক্ষেত্রে একমাস থেকে তিনমাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা একশাে টাকা থেকে পাঁচশাে টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা দুটোই একসঙ্গে হতে পারে। আপিল- কর্তৃপক্ষের নির্দেশানুযায়ী কোন মালিক যদি শ্রমিককে পুনরায় কাজে নিযুক্ত না করেন তাহলে ২৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।


জেনে রাখা দরকার

উপরিউক্ত আইনের অধীনে কোন শ্রমিক যদি কোনরকম অন্যায়ের শিকার হন বা মালিক বা মালিক পক্ষ যদি কোন নিয়ম লঙ্ঘন করেন তাহলে শ্রমিকরা মুখ্য পরিদর্শকের কাছে অভিযােগ জানাবেন।

বিড়ি এবং সিগার শ্রমিক আইন । এই আইন না মানলে মালিকের ৩ মাস জেল হতে পারে বিড়ি এবং সিগার শ্রমিক আইন । এই আইন না মানলে মালিকের ৩ মাস জেল হতে পারে Reviewed by Wisdom Apps on অক্টোবর ২৬, ২০২২ Rating: 5

জাতীয় মহিলা কমিশন কি ? জাতীয় মহিলা কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯০ এবং হেল্পলাইন

অক্টোবর ২৪, ২০২২

জাতীয় মহিলা কমিশন
মহিলা কমিশন কি ?

ভারতের সংবিধান ও অন্যান্য আইন প্রদত্ত মহিলাদের অধিকারগুলি সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে মহিলা কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণীত হয়েছে। এই আইনগুলিতে মহিলাদের জন্য ব্যবস্থিত অধিকার সম্পর্কিত বিশেষ অংশগুলির আলােচনা করা হল।

জাতীয় মহিলা কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯০

কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য একটি জাতীয় কমিশন আইন ১৯৯০ সালে প্রণয়ন করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীর ব্যতীত ভারতের সর্বত্র এই আইন প্রযােজ্য।


জাতীয় মহিলা কমিশনের গঠন

জাতীয় মহিলা কমিশন নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হবে :

(১) কেন্দ্রীয় সরকার মনােনীত একজন চেয়ার পার্সন, যিনি নারী প্রগতির কাজে আত্মনিয়ােজিত।

(২) আইন, ট্রেড ইউনিয়ন, শিল্প পরিচালনা বা মহিলাদের বিভিন্ন কর্মে নিযুক্তির যােগ্যতা বাড়ানাের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ দায়বদ্ধ ব্যক্তি, মহিলাদের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান (মহিলা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী সহ প্রশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা অথবা সমাজ কল্যাণে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, কর্মক্ষম, সৎ প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে কেন্দ্রীয় সরকার মনােনীত পাঁচজন সদস্য যাদের মধ্যে অন্ততঃ একজন করে সদস্য তফসিলভুক্ত উপজাতি ও জনজাতির অন্তর্ভুক্ত।

(৩) পরিচালনা, ম্যানেজমেন্ট বা সাংগঠনিক কাঠামােগত ক্ষমতা অথবা সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে পারদর্শী কোন ব্যক্তি, অথবা কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসের বা সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য যাঁর। উপযুক্ত অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সদস্য সচিব হিসাবে নির্বাচিত হবেন।


জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান কার্যাবলী

ক) সংবিধান ও অন্যান্য আইনে মহিলাদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে রক্ষাকবচগুলির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করা;

খ) বাৎসরিক অথবা নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উক্ত রক্ষাকবচগুলি কিভাবে প্রয়ােগ করা হচ্ছে সে বিষয়ে রিপোের্ট পেশ করা;

গ)এই রিপাের্টে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কর্তৃক মহিলাদের অবস্থার উন্নতির জন্য রক্ষাকবচগুলি কার্যকরী ভাবে সম্পাদিত করার জন্য সুপারিশ করা ;

ঘ) উপযুক্ত সময়ান্তরে মহিলা সম্পর্কিত সংবিধান ও অন্যান্য আইনের বর্তমান ব্যবস্থাগুলির পযালােচনা এবং এই সব আইনের ফাঁক, অসম্পূর্ণতা বা ত্রুটিগুলি সংশোধনের জন্য সুপারিশ করা;

ঙ) সংবিধান ও অন্যান্য আইনের মহিলা সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবস্থা লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নজরে আনা;

চ) নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অভিযােগের ভিত্তিতে অথবা স্বতঃপ্রণােদিতভাবে খতিয়ে দেখা

i) মহিলারা অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে;

ii) মহিলাদের সুরক্ষার এবং সমানাধিকার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণীত আইনগুলি সঠিক ভাবে সম্পাদিত না হলে;

iii) মহিলাদের কষ্ট লাঘব করা, তাদের কল্যাণসাধন এবং বাধাগুলি দূর করার জন্য যে সকল নিয়ম নীতি, পরিচালনপদ্ধতি ও অন্যান্য নির্দেশ আছে সেগুলি অমান্য করা হলে; এবং এই সকল ক্ষেত্রে অমান্য করা হলে তা বিষয়গুলি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের গােচরে আনা;

ছ) মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক বা নৃশংস নির্যাতনের ফলে উদ্ভূত বিশেষ সমস্যাগুলি সম্পর্কে বিশেষ সমীক্ষা | ও অনুসন্ধানের জন্য উৎসাহ দেওয়া এবং সেগুলির অপনােদনের নির্দিষ্ট বাধাগুলি চিহ্নিত করা;

জ) সর্বক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা, তাদের অগ্রগতি রােধ করার ক্ষেত্রে যে কারণগুলি দায়ী * যেমন আবাসন ও অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলি না পাওয়া, একঘেয়ে নীরসকাজ ও পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি ** কমানাের জন্য এবং কাজের ক্ষেত্রে তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য অপ্রতুল সহায়ক পরিষেবা ব্যবস্থা * ও প্রযুক্তি --সেই কারণগুলি চিহুিত করা;

ঝ) মহিলাদের সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ ও পরামর্শ দেওয়া;

ঞ) কেন্দ্র ও রাজ্যে মহিলাদের উন্নয়নের অগ্রগতির মূল্যায়ন; -

ট) জেল বা পরিত্যক্ত মেয়েদের হােম, মহিলাদের হাজত বা অন্য কোন জায়গা যেখানে মহিলাদের বন্দী হিসাবে অথবা অন্য কোন ভাবে অভিরক্ষাধীনে রাখা হয় সেগুলি পরিদর্শন করা বা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা এবং সেগুলি ত্রুটি মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা;

ঠ) বহু সংখ্যক মহিলার পক্ষে ক্ষতিকারক এমন বিষয়সমূহকে জড়িত করে যে মামলা, সেই মামলার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রদান।

ড) মহিলাদের সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে, বিশেষ করে তারা যে বিভিন্ন ধরণের অসুবিধায় ভােগে সে সম্পর্কে 1 নির্দিষ্ট সময় অন্তর সরকারের কাছে রিপাের্ট পেশ;

অন্য যে কোনও বিষয় জাতীয় মহিলা কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে পারবেন। ;


উপরােক্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে তদন্ত করার সময়ে কমিশন কাউকে ডেকে পাঠাননা বা জোর করে হাজির করা, কোন নথি উপস্থাপন করা, সাক্ষ্য ও হলফনামা গ্রহণ করা, কোনও কোর্ট বা অফিস থেকে কোনও রেকর্ড তলব করা, ইত্যাদি বিষয়ে একটি দেওয়ানি আদালতের মতই ক্ষমতা ভােগ করবে।

এই কমিশনের সমস্ত রিপাের্ট এবং এ সম্পর্কে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে অথবা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এবং যদি কমিশনের সুপারিশ অগ্রাহ্য করা হয়ে থাকে তবে তার কারণ কি সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে বক্তব্য পেশ করবেন।


পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশন আইন, ১৯৯২

ভারতের সকল অঙ্গ রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই সর্বপ্রথম রাজ্যস্তরে মহিলা কমিশন আইন, ১৯৯২ প্রণয়ন করে।

পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের গঠন

নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশন গঠিতঃ

(১) রাজ্য সরকার মনােনীত একজন চেয়ারপার্সন ও একজন ভাইস চেয়ার পার্সন;

(২) যে সব ব্যক্তি মহিলাদের স্বার্থরক্ষায় যােগ্যতাসম্পন্ন এবং সৎ, যাদের আইন সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা আছে, অথবা

মহিলাদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা আছে, অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বে আছেন অথবা মহিলাদের সার্বিক স্বার্থসুরক্ষা এবং উন্নতিবর্ধনের জন্য গঠিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে রাজ্য সরকার নিয়ােজিত নয়জন সদস্য থাকবেন, তাদের মধ্যে অবশ্যই একজন তফসিলভুক্ত জাতি ও একজন জনজাতির সদস্য থাকবেন।

রাজ্য সরকারের একজন অফিসার সদস্য সচিব হিসাবে কাজ করবেন।

রাজ্য কমিশন প্রয়ােজন বােধ করলে তার সভাগুলিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন।


পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের কার্যাবলী

পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের কার্যাবলী মােটামুটিভাবে জাতীয় মহিলা কমিশনের কার্যাবলীর অনুরূপ।

কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে ছয় মাস অন্তর অথবা অন্য কোন স্থিরীকৃত সময়ে সুপারিশসহ নিজ কার্যাবলীর রিপাের্ট পেশ করবেন এবং রাজ্য সরকার যত শীঘ্র সম্ভব ঐ রিপাের্ট এবং সে সম্পর্কে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং যেক্ষেত্রে সুপারিশ অগ্রাহ্য করা হয়েছে তার কারণ কী এ সবই রাজ্যের আইনসভায় পেশ করবেন।

১১৭।

রাজ্য সরকারও মহিলা সম্পর্কিত কোন নীতি প্রণয়নের সময়ে কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।

কোন বিষয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের কোন রিপাের্ট সম্পর্কে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন থাকলে অথবা রাজ্য সরকার আলােচ্য বিষয়ে জড়িত থাকলে এবং রাজ্য সরকার চাইলে ঐ বিষয়ে তাদের মতামত ও সুপারিশ জানানাে রাজ্য মহিলা কমিশনের দায়িত্ব।


মহিলাদের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহিলা কমিশন যােগ্যতা সহকারে কাজ করে চলেছে।


মহিলা কমিশনের ফোন নাম্বার ও ইমেল আইডি নিচে দেওয়া হল - যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ করতে পারেন টুইটার ও ফেসবুকের মাধ্যমেও


মহিলা হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করতে পারেন 181 ডায়াল করে


Email                                                     :: ncw@nic.in Complaint & Investigation Cell           :: complaintcell-ncw@nic.in Policy Monitoring and Research Cell :: sro-ncw@nic.in Legal Cell                                             :: lo-ncw@nic.in RTI Cell                                                  :: rticell-ncw@nic.in NRI Cell                                                  :: nricell-ncw@nic.in North East Cell                                      :: northeastcell-ncw@nic.in



পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের ঠিকানা ও হেল্পলাইন নাম্বার

West Bengal Commission for Women, 
"Jalasampad Bhavan", (Ground Floor & 10th Floor), Block-DF,
Sector - I, Salt Lake City, Kolkata-700 091 
Phone: 033-23595609, 23210154, 23215895 23345324 (Fax)



জাতীয় মহিলা কমিশন কি ? জাতীয় মহিলা কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯০ এবং হেল্পলাইন জাতীয় মহিলা কমিশন কি ? জাতীয় মহিলা কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯০ এবং হেল্পলাইন Reviewed by Wisdom Apps on অক্টোবর ২৪, ২০২২ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.