সংশোধনী ৫২ - ১০৮ তম



  • ৫২-তম ১৯৮৫   এই সংশোধন দ্বারা ১০১, ১০২, ১৯০ ধারার পরিবর্তন করা হয়।
               সংবিধানের দশম তফসিল সংযুক্ত করা হয় এবং দলত্যাগ বিরধী ব্যবস্থা
               গ্রহন করা হয়। দলত্যাগের কারনে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিধানসভার
               সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল করার ব্যবস্থাদি গৃহীত হয়; যেমন কেন্দ্রীয়
               আইনসভা বা রাজ্য আইনসভার যেকোনো কক্ষের যেকোনো সদস্য তাঁর
               মনোনীত দলের সদস্যপদ ত্যাগ করলে তিনি আইনসভার সদস্যপদ
               হারাবেন। তাঁর দলত্যাগ ও সদস্যপদ বাতিল নির্ধারণ করবেন
               আইনসভার সংশ্লিষ্ট কক্ষের অধ্যক্ষ বা চেয়ারম্যান।
  • ৫৫-তম ১৯৮৬   অরুনাচলপ্রদেশের ভারতর ২৪-তম অঙ্গরাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ।
  • ৫৬-তম ১৯৮৭   গোয়ার ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের ২৫-তম রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ।
  • ৫৭-তম ১৯৮৭   হিন্দিতে ভাষাস্তরিত ভারতীয় সংবিধান ইংরেজি ভাষায় লিখিত সংবিধানের
              মতই মূল সংবিধান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
  • ৫৮-তম ১৯৮৭   নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মেজোরাম, অরুনাচলপ্রদেশ প্রভুতি কেন্দ্রশাসিত
               অঞ্চল পূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।
  • ৬০-তম ১৯৮০   বৃত্তিকর বৃদ্ধি ক্ষমতা রাজ্যসরকারগুলিকে দেওয়া হয়।
  • ৬১-তম ১৯৮৯   ভোটাধিকার অর্জনের বয়সসীমা ২১ থকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়
               এবং ভোটাধিকার প্রদান সম্পর্কিত যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিসয়টি
               নির্ধারিত করা হয়।
  • ৬৪-তম ১৯৯০    পাঞ্জাব রাজ্যের হিংসাত্মক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের
               মেয়াদ আরও অতিরিক্ত ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়। ফলে পাঞ্জাবের
               রাষ্ট্রপতি শাসন জারীর মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩ বছর ৬ মাস।
  • ৬৭-তম ১৯৯০ পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি্র শাসন আরও ৬ মাস বাড়িয়ে মোট ৪ বছর করা হল।
  • ৬৮-তম ১৯৯১   পাঞ্জা্বে রাষ্ট্রপতির শাসন আরও ১ বছর বাড়িয়ে মোট ৫ বছর করা
               হল। ১৯৮৭ সালের ১১ই মে জারি করা রাষ্ট্রপতির শাসনের মেয়াদ
               বৃদ্ধি করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
  • ৬৯-তম ১৯৯১   দিল্লিকে জাতীয়া রাজধানী অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
  • ৭১-তম ১৯৯২   কোঙ্কনি, মনিপুরি, ও নেপালি এই তিনটি ভাষাকে অষ্টম তফশিলের
               অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অষ্টম তফসিলে উল্লিখিত সরকারি ভাষার সংখ্যা
               ১৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হল।
  • ৭৩-তম ১৯৯২   পাঞ্চায়েতের গঠন, আসন সংরক্ষণ, পাঞ্চায়েতের কার্যকর, পাঞ্চায়েতের
               সদস্যদের অযোগ্যতা, পাঞ্চায়েতের ক্ষমতা কৃতিত্ব, ও দায়িত্ব, সংবিধানের
               ২৮০ ধারা সংশোধনী, একাদশ তম তফসিলের অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি আছে
               এই সংবিধান সংবিধানীতে।
  • ৭৪-তম  ১৯৯২   পৌরসভার গঠন, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কমিটি সমূহের গঠন, আসন
               সংরক্ষণ, পৌরসভার কার্যকাল সদস্যদের অযোগ্যতা, পৌরসভার ক্ষমতা
               কৃতিত্ব দায়িত্বসমুহ, সংবিধানের ২৮০ ধারার সংশোধন, দ্বাদশতম
                তফসিলের অন্তর্ভুক্তি প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই সংশোধনী দ্বারা।
  • ৭৮-তম ১৯৯৯   লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় তপশিলী জাতি, উপজাতি ও অ্যাঙ্গলো-
               ইন্ডিয়ানদের সংরক্ষেন জন্য আসন সংরক্ষেন মেয়াদ আরও ১০ বছর
               বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • ৮০-তম ২০০০    দশম অর্থ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্য অর্থ
               ভাগাভাগির ব্যাপারে ৮০-তম সংবিধান সংশধনী আইনের একটি
               বিকল্প ব্যবাস্থা বিধিবদ্ধ করা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যসমূহের মধ্যে
               ‘করব্যবাবস্থা বণ্টন’ সম্পর্কিত নীতির পরিবর্তন ঘটানো হয়। কর থেকে
               প্রাপ্ত আয়ের ২৯ শাতাংশ রাজ্যগুলিকে প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
  • ৮২-তম ২০০০    কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের চকরির ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি ও
               উপজাতিদের জন্য পরিক্ষার ‘ন্যুনতম প্রাপ্ত নম্বর’ কমানো জেতে পারে।
               এমন কি পরিক্ষার মূল্যায়নের মানকে হ্রাস বা কমানো যাবে। মূল
               উদ্দেশ্য যাতে সরকারী তপশীলি জাতি ও উপজাতিরা লাভ করতে পারে।
  • ৮৪-তম ২০০১    লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা আসন সংখ্যা ২০২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত
               অপরিবর্তিত থাকবে। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে লোকসভা ও
               বিধানসভাগুলির ভৌগোলিক এলাকার পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়।
  • ৮৫-তম ২০০১    তপশীলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের সংরক্ষণের নিয়ম
               মোতাবেক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়মমাফিক পদন্নোতির জন্য বিশেষ
               সংরক্ষনমূলক ব্যাবস্থা গৃহীত হয়েছে।
  • ৮৬-তম ২০০২    শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৬-১৪ বছর বয়সের
               সকল শিশুর শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকারের মর্যাদা লাভ করেছে।
               একইভাবে শিক্ষাকে মৌলিক কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নির্দেশমূলক
                নীতি সম্পর্কিত ৪৫ ধারাটি সংশোধন করে একটি নতুন অনুচ্ছেদ
                বিকল্প হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে।
  • ৮৭-তম ২০০৩  এই সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনী ক্ষেত্রসমূহের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
               SC/ST  দের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী ক্ষেত্রসমূহের ও পুনর্বিন্যাস করা
                            হয়েছে। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই
               পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
  • ৮৮-তম ২০০৩  কেদ্র ও রাজ্য কর্তৃক চাকরির উপর কর ধার্য ও আদায় সম্পর্কে
               করা হয়েছে এই সংশোধনীতে। সেবামুলক ক্ষেত্রে কেন্দ্র কর আরোপ
               করবে কিন্তু কর সংগ্রহ ও রাজ্য সরকার উভয়ের দ্বারাই সম্পাদিত
               হবে পার্লামেন্ট প্রণীত আইন অনুসারে।
  • ৮৯-তম ২০০৩   তপশিলি জাতি ও উপজাতিসমূহের দুটি পৃথক জাতীয় কমিশনের কথা
              বলা হয়েছে এই সংশোধনীতে।
  • ৯১-তম ২০০৩   কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী সমেত মন্ত্রিসভাএ সদস্য সংখ্যা লোকসভার মোট
               সদস্যসংখ্যার ১৫ শতাংশ এর অধিক হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
               সমেত রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্যসংখ্যা সেই রাজ্যের বিধানসভার মোট
               সদস্যসংখ্যা ১৫ শতাংশ এর অধিক হবে না এবং এই সদস্য সংখ্যা
               ১২ এর থেকে কম হবে না।
  • ৯২-তম ২০০৩    অষ্টম তপশিলের বোড়ো, ডোগরী, মৈথিলী ও সাঁওতালী এই চারটি ভাষা
               যুক্ত করা হয়েছে এবং অষ্টম তপশিলে ভারতে স্বীকৃতি ভাষার সংখ্যা হল
               ২২ টি।
  • ৯৩-তম ২০০৫    এই সংশোধনী দ্বারা Article 15 তে একটি নতুন আইনের সংযোজন করা
               হয়েছে। এই আইন দ্বারা রাজ্য একাটি বিশেষ ক্ষামতাবলে SC/ST  বা
               শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেনির জন্য বিশেষ সংরক্ষণ ব্যাবস্থা
               নিতে পারে। সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্যান যেকোনো সরকার
               পোষিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার এই সকল
               শ্রেনির জন্য শিক্ষা গ্রহনের ব্যাবস্থা করতে পারবে।
  • ৯৪-তম ২০০৬    এই সংশোধনী দ্বারা বিহারে উপজাতি উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রি নিয়োগের
               ব্যাপারে সকল বাধা দূর করা হয়। এই সংশোধনী দ্বারা Article 164(1)
                             কে সংশোধন করা হয় এবং ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের পূর্ব উল্লেখিত
               নিয়মটি বলবৎ করা হয়। Article 164(1)  এখন থেকে কেবলমাত্র ৪টি
               রাজ্য- মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য প্রযোজ্য হবে।
  • ১০৮-তম ২০০৮ পার্লামেন্ট ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য একতৃতীয়াংশ আসন
               সংরক্ষিত থাকবে।
             
      






সংশোধনী ৫২ - ১০৮ তম সংশোধনী ৫২ - ১০৮ তম Reviewed by Wisdom Apps on আগস্ট ২৮, ২০১৮ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.