পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৯৭

 পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৯৭ 


১৯৯৮ সালের ৩রা আগস্ট তারিখ থেকে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে উপরােক্ত আইনটি কার্যকরী হয়েছে। এই সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হয়েছে উক্ত তারিখে ৪২৩৮ নম্বর বিধান অনুসারে।

এখন থেকে এই আইনের কর্তৃপক্ষের অফিসের ঠিকানা হয়েছে বিকাশভবন, তৃতীয় তল, সাউথ ব্লক, সল্টলেক সিটি, কলকাতা ৭০০০৯১।

এই আইনের কতকগুলি বিশেষ বিষয়ের ওপর আলােকপাত করা হলাে।

ট্রাইবুন্যালের কর্তৃত্ব, ক্ষমতা এবং সেই ক্ষমতার ক্ষেত্রাধিকার অর্থাৎ জুরিসডিকসন নির্ণয়

(ক) প্রথমত, নির্দিষ্ট আইন : পশ্চিমবঙ্গ জমিদারী অধিগ্রহণ আইন, ১৯৫৩ পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার আইন, ১৯৫৫ কলিকাতা ঠিকা টেন্যান্সি (অধিগ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৮১ পশ্চিমবঙ্গীয় কৃষিমজুর, হস্তশিল্পী ও মৎস্যজীবীদের জন্যে বাস্তুভিটা অধিগ্রহণ আইন, ১৯৭৫ পশ্চিমবঙ্গ প্রেমিসেস টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৯৭ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া আদেশের ব্যাপারে ট্রাইবুন্যাল তার ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারেন।

(খ) এই আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা বা ইচ্ছাকৃত অযত্ন বা অমনােযােগীতার বিরুদ্ধে এই ট্রাইবুন্যাল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

(গ) জমিদারী অধিগ্রহণ আইনের ৩৬ নম্বর ধারা অনুসারে মাইনস ট্রাইবুন্যালের দেওয়া কোনাে আদেশের বিরুদ্ধে কোনাে আপিল এই ট্রাইবুন্যাল বিচারের জন্য নিতে পারেন।

(ঘ) ভারতীয় সংবিধানের ব্যবস্থা বা অবস্তুর সাথে যদি উপরিবর্ণিত কোনাে আইনের সংঘাত বাঁধে বা আইনটি প্রয়ােগের ক্ষেত্রে সংবিধানের ব্যবস্থা অস্বীকার বা অগ্রাহ্য করা হয়েছে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তাহলে ট্রাইবুন্যাল সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

(ঙ) হাইকোর্টে এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত বিষয়ের নিষ্পত্তি শুনানি, মামলা বা আপিল কার্যক্রমের জন্যে ট্রাইবুন্যালকে দায়িত্ব নিতে বলবেন, ট্রাইবুন্যাল মেইন বিষয়গুলি দেখবেন। 

ট্রাইব্যুন্যালের কাছে কিভাবে দরখাস্ত পেশ করতে হবে ।

উক্ত আইনের ১০ নম্বর ধারাতে বলে দেওয়া হয়েছে, ট্রাইবুন্যালের কাছে কিভাবে দরখাস্ত পেশ করতে হবে।

(১) এই আইনের ৬ নম্বর ধারার ব্যবস্থা অনুসারে যদি কোনাে ব্যক্তি ভূমি সংস্কার দপ্তরের প্রদত্ত কোনাে আদেশের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আবেদন করতে চান অথবা কোনাে স্তরের আধিকারিকের দেওয়া আদেশ তার মনঃপুত না হয় অথবা আধিকারিকের কোনাে কাজ সম্পর্কে মনের ভেতর ক্ষোভ থাকে তাহলে তিনি ট্রাইবুন্যালের কাছে অভিযােগ জানাতে পারবেন। রাজ্য সরকারের কোনাে পদক্ষেপ সম্পর্কে তার ক্ষোভ

থাকলেও তিনি ট্রাইবুন্যালের কাছে আবেদন করতে পারবেন। 

(২) ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্তৃপক্ষের এই জাতীয় আদেশ দানের সাত দিনের মধ্যে উক্ত আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট কোর্ট ফি দিতে হবে। 

(৩) অভিযােগকারী ব্যক্তি বা আবেদনকারী পক্ষ আইনগত ভাবে তার অসুবিধা নিরসনে যা যা কর্তব্য তা পালন করেছেন কিনা সঠিকভাবে তা দেখা হবে। ট্রাইবুন্যাল যদি দেখতে পান যে সমস্ত বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও অভিযােগকারীর সমস্যাটি সমাধান হয়নি, তাহলে ট্রাইবুন্যাল উক্ত ক্ষেত্রটিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন। 

(৪) যদি ট্রাইবুন্যাল দেখেন যে আবেদনটিতে সব বিষয়ের বর্ণনা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, আবেদনকারী কোর্ট ফি জমা দিয়েছেন এবং অভিযােগগুলিকে যুক্তিগ্রাহ্য ভাবে পেশ করেছেন তাহলে ট্রাইবুন্যাল সেটি বিবেচনা করবেন। যদি কোনাে জায়গাতে, কোনাে ত্রুটি চোখে পড়ে তাহলে ট্রাইবুন্যাল প্রথমেই উক্ত আবেদনটিকে বাতিল হিসাবে ঘােষণা করবেন।

(খ) পশ্চিমবঙ্গ ভূমিসংস্কার আইন, ১৯৫৫।

(গ) পশ্চিমবঙ্গীয় কৃষি, শ্রমিক, হস্তশিল্পী এবং বাদ্যজীবীদের জন্যে বাজমি অধিগ্রহণ আইন, ১৯৭৫।

(ঘ) কলিকাতা ঠিকা টেন্যান্সি (অধিগ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৮১।

(ঙ) পশ্চিমবঙ্গ প্রেমিসেস টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৯৭।

এই আইনে যেখানে নির্দিষ্ট আইনে'—এই অনুসঙ্গটি ব্যবহৃত হয়েছে যেখানে এই পাঁচটি আইনের যে-কোনাে আইনকে বােঝানাে হবে।


পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৯৭  পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৯৭ Reviewed by Wisdom Apps on নভেম্বর ২৩, ২০২১ Rating: 5

২টি মন্তব্য:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.