মোহাম্মদ ইব্রাহীম আর্য আরীয়া নামে এক যুবক হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন রায়পুরের ২৩ বছর বয়সী যুবতি কে বিবাহ করার জন্য। বিবাহ ভালো ভাবে সম্পন্ন হলেও , এলাকার কিছু ডানপন্থী হিন্দু দল এবং যুবতির পরিবারের লোকজন মিলে জোর পূর্বক তদের বিছেদ ঘটিয়ে দেন। যার ফলে উচ্চ আদালতের দরস্থ হন ঐ যুবক।
ইব্রাহীম আদালতে জানান সে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করা সত্তেও তাদেরকে জোর পূর্বক আলাদা করে দেওয়া হয়। তিনি তার স্ত্রী কে আদালতে হাজির ও তার ইচ্ছা শোনার জন্য আবেদন জানান। সুপ্রীম কোর্ট তার আবেদন মন্জুর করে এবধামতারী (ছতিশগড়) থানার পুলিশ কে আগামী ২৭/০৮/২০১৮ তারিখ এ তার স্ত্রী কে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। এছাড়া আদালত আবেদন কারিকে এও সতর্ক করে, যদি তার স্ত্রী এই বিবাহ সম্পর্কে কোনরকম আপত্তি জানায় তহলে তখনি আপিল টি বাতিল করা হবে।
ঐ দম্পতী প্রথমে হিন্দু ধর্মের রিতি অনুযায়ী রাইপুরের আর্য সমাজ মন্দির এ বিবাহ করে । পরবর্তী তে তারা তাদের বিবাহ নতিভুক্ত করে রাইপুর পুরো সভাতে । যদিও মেয়েটি তার বিবাহ পরিবারের কাছে গোপন রেখেছিল।
আবেদন কারি আরও দাবি করেন ,যুবতি র পিতার প্রভাবশলী ব্যাকগ্রাউন্ড এর কারনে তাকে তার পিতা মাতার বাড়িতে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা বিবৃতি রেকর্ড করে রাখা হয় যাতে বোঝা যায় মেয়েটি তার স্ব ইছায় পিতা মাতার গৃহে রয়েছে ।
এর আগে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট একই মামলা চলা কালীণ মেয়েটি স্বীকার করে সে তার নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিল ও তার সাথে থাকতে চেয়েছিল ।কিন্তু মেয়েটির মা আদালতে আত্ম হত্যার হুমকি দিয়ে মেয়ে কে নিজের কাছে রাখার অনুমতি দিতে বাধ্য করেন ।
হিন্দু মেয়ে কে বিয়ে করে মুসলিম যুবককে সুপ্রিম কোর্ট এর দ্বারস্থ হতে হল কেন?
Reviewed by All about Nature
on
আগস্ট ২০, ২০১৮
Rating:
Reviewed by All about Nature
on
আগস্ট ২০, ২০১৮
Rating:

কোন মন্তব্য নেই: