নিরপরাধ স্বামীদের কথা মাথায় রেখেই " পন নেওয়ার শাস্তি " - আইনের বিস্তর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট । পন নেওয়া যেমন অপরাধ , পনের জন্য স্ত্রীর উপর মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ । বর্তমানে পন পথা বিরুদ্ধ আইনটি সম্পূর্ণ রূপেই নারীর সুবিধা বুঝে তৈরি করা । পণের আইনে অনুযায়ী - অত্যাচারিত মহিলাকে সুবিধা দেওয়ার জন্য -মহিলার করা একটি অভিযোগই যথেষ্ট । পুলিশের কাছে করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো সাক্ষ্য-প্রমান ছাড়াই পন গ্রহনকারি স্বামী ও তার পরিবারকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ।
প্রকৃত অত্যাচারিতা নারীর ক্ষেত্রে এই আইনটি উপযোগী হলেও - অনেক অসৎ নারী এই আইনের সাহায্য নিয়ে নিরীহ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবারের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন । পুলিশে মিথ্যা অভিযোগ করে সবাইকে জেলে পুরে দেবে - এমন ভয় দেখিয়ে নিজের শাসনের ছড়ি ঘুরিয়ে চলেছেন অনেক মহিলা ।
সুপ্রিম কোর্টের মতে - আইনটির থেকে বেশী সমস্যা করে ফেলেছে আইনের রক্ষাকর্তারা । বেশ কিছু ক্ষেত্রে আইনের রক্ষাকর্তা অর্থাৎ পুলিশদের অতিরিক্ত তৎপরতায় অনেক নিরপরাধ স্বামীকে অল্প দিনের জন্য হলেও জেলের আসামী হতে হয়েছে । আইনের সীমারেখায় বাধা থাকার কারনে পুলিশের হাতে উপায়ন্তর থাকে না । অভিযোগ জমা পড়লে সরাসরি জেলে বন্দি করা ছাড়া আর রাস্তা থাকে না । ২০১৭ সালে একটি কেসে দেখা যায় স্বামী সম্পূর্ণ নিরপরাধ , অথচ আইনের প্যাঁচে পড়ে সে জেলের আসামী ; এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে এবং সম্প্রতী বেশ কিছু ভুয়ো কেসের বিচার করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে - ২০১৭ সালে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যাদের কাজ ছিল পন প্রথা বিরোধী কোনো কেস জমা পড়লে আগে সেটা অনুসন্ধান করে ক্ষতিয়ে দেখা । অপরাধ প্রমানিত হলে তবেই অপরাধীকে গ্রেফতার করার অধিকার পুলিশকে দেওয়া হবে । কিন্তু জেলায় জেলায় এমন একটি কমিটি বানানো অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ।
এই কারনে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে - পণের আইনটির কিছু পরিবর্তন করে নারীদের একচেটিয়া অধিকার কিছুটা খর্ব করে নেওয়া হবে ।
অবশ্য আইনটি নতুন ভাবে কার্যকারী হওয়াটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ।
নিরপরাধ স্বামীদের কথা মাথায় রেখেই পনের-শাস্তি আইনে পরিবর্তন করা হবে
Reviewed by Wisdom Apps
on
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: