চুরী করার চাকরী , শুনেছেন কখনো ?

চুরী করার চাকরী , শুনেছেন কখনো ? 

জয়পুরের আশিস মিনা নামের ২১ বছরের এক বেকার যুবকের মাথায় আসে এমন ভয়ঙ্কর আইডিয়া । নিজে একটি গুপ্ত সংস্থা খুলে শুরু করে দেয় চাকরী দেওয়া । ইন্টারভিউ নিয়ে চাকরী দেয় ৬ জন যুবককে । এই ৬ জন যুবক নিরক্ষর এবং চাকরীর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল । ৬ জনের বয়স ২৫ এর ভিতর । আশিস মিনা - এদের সাথে চুক্তি করে - প্রতিদিন অন্তত একটি করে চুরি বা ছিনতাই করতে হবে । যা মাল পাওয়া যাবে সেগুলো হেড কোয়ার্টার অর্থাৎ আশিসের অফিসে জমা দিতে হবে । মাসের শেষে প্রত্যেককে ১৫০০০ টাকা করে বেতন দেবে আসিশ ।
প্রতিদিন মিনিমাম একটি ছিনতাই করতেই হবে , না করলে মাসের শেষে মাইনে কেটে নেওয়া হবে এমন শর্তেই কাজে লেগে পড়েন ৬ যুবক । গত জুলাই মাস থেকে কাজ শুরু করে প্রায় প্রত্যেক " এমপ্লয়ী "  গড়ে ৩৬টি করে চুরি করেছেন বলে পুলিশের অনুমান ।
ভালোভাবেই কাজ চলছিল আশিসের সংস্থার । চোরাই মাল বেচাও চলছিল সঠিক পথে । কাল হল মোবাইল ফোন চুরি করা । এক ব্যাক্তির ফোন চুরি করে সেটায় অন্য সীম ভরে রীতিমত ব্যাবসার লেনদেনের কথোপকথন চালাচ্ছিল আশিস মিনা ।  
এদিকে গত ২ মাস ধরে চুরি , ছিনতাই এর ঘটনা এত বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ তক্কে তক্কেই ছিল । বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে আর চুরি যাওয়া মোবাইলের লোকেশান ট্রেস করে পুলিশ খুঁজে পেয়ে যায় আসিশের গুপ্ত সংস্থার হদিস । সেখানে গিয়েই পালের গোদা সহ ধরা পরে বাকি সঙ্গী সাথী । আসিশের প্ল্যান দেখে পুলিশ রীতিমত আশ্চর্য হয়ে যায় । দৈনিক চুরি করা মাল বিক্রি করার জন্য বহু গ্রাহকের সাথে ভালো সম্পর্ক করে ফেলেছিল আশিস । এই কদিনেই অসংখ্য চোরাই মাল বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরেও - আশিশের অফিস থেকে ৩৩ টি দামী মোবাইল , ৪ টে মোটর সাইকেল , ২টি সোনার চেন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হয় । চুরি ও ছিনতাই-এর অপরাধে সাতজনকেই  গ্রেফতার করেছে জয়পুর পুলিশ । 

চুরী করার চাকরী , শুনেছেন কখনো ? চুরী করার চাকরী , শুনেছেন কখনো ? Reviewed by Wisdom Apps on অক্টোবর ১১, ২০১৮ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.