গভীর প্রেমের সময় যৌনসংগম করলে সেটা কোনোভাবেই ধর্ষণ বলা যাবে না - হাইকোর্টের রায়
যোগেশ পালেকর , গোয়ার একটি হোটেলে শেফের কাজ করেন । ২০১৩ সালে সেই হোটেলেই তার সাথে আলাপ হয় স্মার্ট , সুন্দরী রিনার [ নাম পরিবর্তিত ] সাথে । প্রথম পরিচয়েই প্রেম , এরপর বেশ কয়েকবার ডেটিং করার পর যোগেশ রিনাকে তার বাবা মা'র সাথে দেখা করার জন্য বাড়িতে ডাকেন । কিন্তু যোগেশের বাবা মা মেয়েটির সাথে দেখা করতে না আসায় তারা দু'জন একটু হতাশ হয়ে পড়েন এবং সেইদিন সারারাত এক বাড়িতে থেকে যান । রিনার কথা অনুযায়ী এই দিন তারা প্রথম যৌনমিলন করেন । এরপর থেকে বহুবার যোগেশের বাড়িতে তারা অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছেন । কিন্তু ২০১৭ সালে যোগেশের পরিবার থেকে রিনাকে বিয়ের ব্যাপারে চরম আপত্তি করায় যোগেশ রিনার সাথে ব্রেক আপ করে নেয় ।
রিনা ট্রায়াল কোর্টে - যোগেশের বিরূদ্ধে " বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ " করার অভিযোগে মামলা করেন । মামলায় ট্রায়াল কোর্ট যোগেশকে ৭ বছর জেল ও ১০,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে । ট্রায়াল কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মুম্বাই হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চে যান যোগেশ ।
গতকাল মুম্বাই হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চ রায় দিয়েছে - যে সময় যোগেশ ও রিনা যৌনসনহবাস করেছিল সে সময় তারা দুজনে সম্পূর্ণ পরিনত বয়স্ক ছিল এবং পরস্পরের প্রতি গভীর ভালোবাসার তাগিদেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল ; এখানে কোনোভাবেই যোগেশকে ধর্ষণের আসামী বলা চলে না । কোর্ট এও বলে - রিনা ও যোগেশ বেশ কয়েকবার সহবাস করেছে এবং তারা আগে কখনও অভিযোগ করেনি । এছাড়াও যোগেশের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকে প্রমান পাওয়া গেছে , রিনা যোগেশকে বহুবার পারিবারিক প্রয়োজনে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে । ধর্ষণকারীকে কেউ টাকা সাহায্য করে না , কেবলমাত্র গভীর ভালোবাসা ছিল বলেই রিনা এটা করেছে বলে কোর্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে ।
পারিবারিক কারনে যোগেশ রিনাকে বিয়ে করতে আপত্তি করেছে । রিনা ভিন্ন জাতের হওয়ায় যোগেশের পরিবার বিয়েতে চরম আপত্তি জানিয়েছে । ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে না করতে পারা এবং সেই ভালোবাসার মানুষের দ্বারাই ধর্ষক অভিযুক্ত হয়ে যোগেশ খুব ভেঙ্গে পড়েছে এবং সম্প্রতি গোয়ার এক সায়ক্রিয়াটিক কাউন্সিলে চিকিৎসা চালাচ্ছে ।
রিনা ট্রায়াল কোর্টে - যোগেশের বিরূদ্ধে " বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ " করার অভিযোগে মামলা করেন । মামলায় ট্রায়াল কোর্ট যোগেশকে ৭ বছর জেল ও ১০,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে । ট্রায়াল কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মুম্বাই হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চে যান যোগেশ ।
গতকাল মুম্বাই হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চ রায় দিয়েছে - যে সময় যোগেশ ও রিনা যৌনসনহবাস করেছিল সে সময় তারা দুজনে সম্পূর্ণ পরিনত বয়স্ক ছিল এবং পরস্পরের প্রতি গভীর ভালোবাসার তাগিদেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল ; এখানে কোনোভাবেই যোগেশকে ধর্ষণের আসামী বলা চলে না । কোর্ট এও বলে - রিনা ও যোগেশ বেশ কয়েকবার সহবাস করেছে এবং তারা আগে কখনও অভিযোগ করেনি । এছাড়াও যোগেশের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকে প্রমান পাওয়া গেছে , রিনা যোগেশকে বহুবার পারিবারিক প্রয়োজনে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে । ধর্ষণকারীকে কেউ টাকা সাহায্য করে না , কেবলমাত্র গভীর ভালোবাসা ছিল বলেই রিনা এটা করেছে বলে কোর্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে ।
পারিবারিক কারনে যোগেশ রিনাকে বিয়ে করতে আপত্তি করেছে । রিনা ভিন্ন জাতের হওয়ায় যোগেশের পরিবার বিয়েতে চরম আপত্তি জানিয়েছে । ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে না করতে পারা এবং সেই ভালোবাসার মানুষের দ্বারাই ধর্ষক অভিযুক্ত হয়ে যোগেশ খুব ভেঙ্গে পড়েছে এবং সম্প্রতি গোয়ার এক সায়ক্রিয়াটিক কাউন্সিলে চিকিৎসা চালাচ্ছে ।
বিচারপতি Bhadang সমস্ত দিক বিবেচনা করে যোগেশকে সমস্ত সাজা থেকে মুক্ত করেছেন এবং যোগেশের পরিবারকে পরিনত সন্তানদের বিয়ের সিদ্ধান্তে বাধা না দেওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
বিচারপতি Bhadang এর এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে আরো পরিনত ও আধুনিক চিন্তাধারার উপযোগী করে তুলবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন ।
গভীর প্রেমের সময় যৌনসহবাস করলে সেটা ধর্ষণ বলা যাবে না - হাইকোর্টের রায়
Reviewed by Wisdom Apps
on
জুলাই ১১, ২০১৮
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: